ব্যবসা-বাণিজ্যশীর্ষ সংবাদ

অলংকার ক্রয় বিক্রয়ে বাজুসের নতুন নির্দেশনা

1
অলংকার ক্রয় বিক্রয়ে বাজুসের নতুন নির্দেশনা

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) পুরোনো সোনার অলংকার ও ব্যাগেজ রুলসের আওতায় বিদেশ থেকে আনা সোনার বার ও অলংকার ক্রয়-বিক্রয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।

এ নির্দেশনা অনুযায়ী এখন থেকে সোনার পুরোনো অলংকার বিক্রির সময় জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও সেই অলংকারের ক্রয় রসিদের কপি জুয়েলার্স প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে গ্রাহকদের। একই সঙ্গে অলংকারের উৎসও জানাতে হবে।

গতকাল সোমবার নিজস্ব সদস্যদের উদ্দেশে সোনা বেচাকেনায় সতর্কতা–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, দেশের জুয়েলারি শিল্পে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, শৃঙ্খলা ও ব্যবসার মানোন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছে সমিতি।

নির্দেশনায় বাজুস জানিয়েছে, জুয়েলার্স প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনের তাগিদে দেশি-বিদেশি বা নতুন-পুরোনো সোনার অলংকার ক্রয় করে। তবে কিছু ক্ষেত্রে তাদের নানা আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়। কোনো কোনো ব্যবসায়ী পুরোনো ও ব্যাগেজ রুলসের আওতায় বিদেশ থেকে আনা সোনা কিনেও নানা রকম সমস্যায় পড়েন। এই জটিলতা থেকে পরিত্রাণ পেতে সোনা কেনার ক্ষেত্রে নির্দেশনা মানতে হবে।

আরও পড়ুনঃ এক মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা কমেছে ডালের দাম

ব্যাগেজ রুলসের আওতায় বিদেশ থেকে আনা সোনার বার ও অলংকার কেনাবেচা সম্পর্কে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যবসায়ীকে নিজ দায়িত্বে বিক্রেতার পাসপোর্টের মূলকপি থেকে ফটোকপি করিয়ে রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে বিক্রেতা যে দেশ থেকে সোনা নিয়ে এসেছেন, সেই দেশের ভিসার কপি এবং এক্সিট ও এন্ট্রি সিলের কপিও রাখতে হবে। একই সঙ্গে বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং বিমানবন্দরে কর দেওয়ার মূল কপিও রাখতে হবে। সোনার বার বা অলংকার কিনতে হবে প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে। ব্যক্তিগত বা পরিবারের সদস্যদের ব্যবহারের জন্য ব্যাগেজ রুলসের আওতায় বিদেশ থেকে সোনার বার ও অলংকার আনার সুবিধা দেওয়া হয়। তবে অর্থের প্রয়োজনে পণ্যটি কেউ বিক্রি করতে চাইলে যথাযথ কাগজপত্র দিতে হবে। সেসব কাগজপত্র জুয়েলার্স প্রতিষ্ঠানকে তিন বছর সংরক্ষণ করতে হবে। নির্দেশনা অমান্য করে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি সোনা কেনাবেচা করে আইনি ঝামেলায় পড়ে তাহলে সমিতি থেকে কোনো প্রকার সহযোগিতা দেওয়া হবে না।

বর্তমানে দেশের বাজারে ভালো মানের অর্থাৎ হলমার্কসহ ২২ ক্যারেট সোনার প্রতি ভরির দাম ৮২ হাজার ৩৪৮ টাকা। সোনার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় পুরোনো অলংকার বিক্রির প্রবণতা বেড়ে গেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছে ক্রয় রসিদ থাকে না। জুয়েলার্স সমিতির নতুন নির্দেশনা কার্যকর হলে, ক্রয় রসিদ ছাড়া পুরোনো অলংকার বিক্রি করতে গেলে সমস্যার মুখে পড়তে পারেন গ্রাহকেরা।

রাতে নিউইয়র্ক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Previous article

চ্যাম্পিয়নদের বরণে সাজানো হচ্ছে ছাদখোলা বাস

Next article

You may also like

1 Comment

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *