জীবনযাপন অ্যাকোয়ারিয়ামের যত্ন নিন সহজেই By নিজস্ব প্রতিবেদক March 12, 20220 ShareTweet 0 রঙিন মাছে ভরা অ্যাকোয়ারিয়াম বাড়িতে রাখতে পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু সঠিক পরিচর্যা না হলে অ্যাকোয়ারিয়াম আবর্জনাতে ভরে যেতে পারে। খারাপ হয়ে যেতে পারে পানির মানও। এর ফলে মাছের স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে। হতে পারে মৃত্যুও। দেখে নিন কীভাবে সহজেই যত্ন নেওয়া যেতে পারে অ্যাকোয়ারিয়ামের। সাইক্লিং অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ ছাড়ার আগেই এই কাজটি সেরে নেওয়া প্রয়োজন। আসলে পানির মান মাছের জন্য উপযুক্ত করে তোলার পদ্ধতির নামই সাইক্লিং। মাছ ছাড়ার অন্তত এক সপ্তাহ আগে পানিতে অণুজীবের সংখ্যা বৃদ্ধি করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এই ধরনের অণুজীব পানির আবর্জনাকে বিয়োজিত করে সেই পানি মাছের বসবাসের উপযোগী করে তোলে। বাজার থেকেই এই উপাদান কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু মনে রাখবেন অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ থাকলে কোনও মতেই সাইক্লিং করা উচিত নয়। পানির মান নিয়ন্ত্রণ অ্যাকোয়ারিয়ামের পানিতে প্রাকৃতিকভাবেই অ্যামোনিয়া, নাইট্রেট কিংবা নাইট্রাইট জাতীয় যৌগ উপস্থিত থাকে। কিন্তু এই ধরনের যৌগগুলির মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে মাছের স্বাস্থ্যের পক্ষে তা খারাপ হতে পারে। একই ঘটনা ঘটতে পারে পানির অম্লত্বের ভারসাম্য নষ্ট হলেও। এই পদার্থগুলির মাত্রা মাপার জন্য বিশেষ ধরনের কিট কিনতে পাওয়া যায় বাজারে। প্রতি সপ্তাহে এই উপাদানগুলির মাত্রা পরীক্ষা করা বাঞ্ছনীয়। পানির মান ঠিক রাখতে প্রতি সপ্তাহে অ্যাকোয়ারিয়ামের এক তৃতীয়াংশ পানি বের করে দিয়ে পরিশুদ্ধ পানি ঢালতে হবে। মাছের খাবার সব মাছ একই ধরনের খাবার খায় না। এমনকি, এক এক ধরনের মাছ পানির এক এক স্তর থেকে খাদ্যবস্তু সংগ্রহ করে। কাজেই অ্যাকোয়ারিয়ামে থাকা মাছের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে অবগত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাবার না মিললে যেমন মাছের স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে তেমনই অতিরিক্ত খাবারও তৈরি করতে পারে সমস্যা। আবার এই খাবার অ্যাকোয়ারিয়ামে বাড়াতে পারে আবর্জনাও। কী মাছ কিনবেন মাছ দেখতে ভালো লাগলেই কিনে ফেলা উচিত নয়। কোন মাছ কোন উষ্ণতার জলে থাকে, কতোটা স্থান প্রয়োজন কিংবা একাধিক প্রজাতির মাছ একই সঙ্গে থাকতে পারে কি না তা বুঝে নেওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে, যেনো মাছের সংখ্যা অতিরিক্ত না হয়ে যায়। তলদেশ সাফাই অ্যাকোয়ারিয়ামের তলদেশে থাকা পাথর নিয়মিত পরিষ্কার না করলে তা অত্যন্ত নোংরা হয়ে যেতে পারে। প্রতি সপ্তাহে এই পাথর পরিষ্কার করা উচিত। বর্তমানে সাইফন কিংবা ভ্যাকিউম যন্ত্রের মাধ্যমে সহজেই এই তলদেশের পাথর সাফ করা যায়।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231562 views