স্বাস্থ্য

ইচ্ছানুরূপ ব্যবহারে কার্যকারিতা হারাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক

0
antibiotics

দেশে অ্যান্টিবায়োটিকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে ভয়াবহ ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। যথেচ্ছ ব্যবহারে কার্যকারিতা হারাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক; ওষুধ সেবন করেও রোগ সারছে না। এরূপ পরিস্থিতি রোধ করতে অ্যান্টিবায়োটিকের খুচরা বিক্রি বন্ধ করা জরুরি।

রাজধানীর একটি হোটেলে সম্প্রতি ‘অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সমস্যা : প্রতিরোধ করি সবাই মিলে’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা (সিডিসি), ইউএসএআইডি এমট্যাপস প্রোগ্রাম ও বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা বলেন, সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স (ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু) সমস্যা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে এসব ওষুধ প্রয়োজনীয় কর্মক্ষমতা হারাচ্ছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই স্বল্প তীব্রতার অসুস্থতাতেও প্রাণ হারাচ্ছে অনেকেই। এছাড়া হাঁস-মুরগি, গবাদিপশু ও মাছের খামারসহ বিভিন্ন খাদ্যে নানাভাবে অ্যান্টিবায়োটিকসহ বিভিন্ন ওষুধের যথেচ্ছ প্রয়োগেও মানবদেহে নানা ধরনের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রবেশ করছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, দেশের মানুষ জ্বর হলেই সাধারণ ওষুধের সঙ্গে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট ২-৩টা নিয়ে যাচ্ছে। এটি মানুষের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের বড় কারণ। এ জন্য নিয়ম করা প্রয়োজন; কেউ অ্যান্টিবায়োটিক কিনলে ফুল ডোজ কিনতে হবে, না হয় কেনা যাবে না। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে আইন প্রয়োজন; সঙ্গে আইন প্রয়োগও প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ

ইউএসএআইডির গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি এজেন্ডা (জিএইচএসএ) স্পেশালিস্ট ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স সমস্যা সারাবিশ্বে এতটাই বেড়েছে যে, জাতিসংঘ ২০১৬ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স প্রতিরোধকে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে সন্নিবেশিত করেছে। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাপী একত্রে কাজ করার জন্য ‘ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স’ গঠিত হয়েছে।

এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম, বাংলাদেশ মাইক্রোবায়োলজি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা, ওষুধ প্রশাসন আধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. সালাউদ্দিন, আইইডিসিআর’র চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন হাবিব, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর পরিচালক ডা. মো. আবু সুফিয়ান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, ফ্লেমিং ফান্ড কান্ট্রি গ্র্যান্ট বাংলাদেশের টিম লিড অধ্যাপক নীতিশ দেবনাথ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকনিক্যাল অফিসার মোহাম্মাদ রামজি ইসমাইলম, ইউএসএইআইডির এমট্যাপ্স প্রোগ্রামের কান্ট্রি প্রজেক্ট ডিরেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল্লাহ, এমট্যাপ্স প্রোগ্রামের টিম লিড ডা. এসএম জাহিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

ইরানে গ্রেফতার হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারানেহ আলিদুস্তি

Previous article

ব্যর্থতাকে শক্তিতে রূপান্তর করতে চায় ‘অপরাজিতা’

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *