ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বড় বাধা দক্ষ জনশক্তির অভাব: স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি By নিজস্ব প্রতিবেদক January 30, 20220 ShareTweet 0 রোববার ৩০ জানুয়ারি, ২০২২: সরকার ঘোষিত বিভিন্ন অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে শিল্পায়নের নানা কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা। স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বড় বাধা দক্ষ জনশক্তির অভাব। জাতীয় অর্থনৈতিক নীতি ও পরিকল্পনা, ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, এসডিজি ও ভিশন ২০৪১ অর্জন বিষয়ক এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে এ মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। রোববার সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতি বলেন পোশাক কারখানাগুলো ১৫ থেকে ২০ শতাংশ দক্ষ জনশক্তি ঘাটতিতে রয়েছে। ব্যবস্থাপনার নানা পদে বিদেশীদের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। দেশে উচ্চশিক্ষিত তরুণদের অভাব না থাকলেও শিল্পের প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাব রয়েছে। সরকারের অনেকগুলো কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও, সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে কাঙ্খিত মানের শিক্ষার্থী পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারে বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবশ্যই দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে মনোযোগ দিতে হবে। তাই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কারিকুলামকে শিল্পের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে আরো গতিশীল করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি সংস্থাগুলোতেও দক্ষ জনবল নিয়োগ দেয়ার আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি। মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, ভবিষ্যতে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে, উন্নয়নশীল দেশ হবার পরে স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য নতুন নতুন কৌশল হাতে নিতে হবে। কিন্তু সেজন্য সরকারি সংস্থাগুলোতে প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল নেই। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি সরকারি সংস্থাগুলোকে নীতি প্রণয়নের আগে বেসরকারি খাতের সঙ্গে আলোচনা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কোন প্রকার আলোচনা ছাড়াই সরকারি সংস্থাগুলো নানা ধরনের নীতি প্রণয়ন করে। মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতার প্রতিফলন না থাকায় নীতিগুলো বাস্তবায়ন কঠিন বা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এর আগে বৈঠকের আলোচনায় বাংলাদেশে শিল্পায়নের নানা চ্যালেঞ্জ উঠে আসে। বক্তারা বলেন, দেশের শিল্পায়ন মূলত ঢাকা ও চট্টগ্রামে আটকে আছে। শিল্প বিকেন্দ্রীকরণ করতে দেশব্যাপী অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে এ উদ্যোগ সফল করতে হলে টাউনশিপ গড়তে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে সাথে বৈষম্য হ্রাস, শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিল্পের যোগসূত্র স্থাপন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ওপর জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন, অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে লৈঙ্গিক সমতা বিধান ও নারী ক্ষমতায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো নিয়ে কথা বলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা। বৈঠকে কমিটির ডিরেক্টর ইন চার্জ ড. নাদিয়া বিনতে আমিন বলেন, উন্নত রাষ্ট্রগুলোর অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান ৮০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাংলাদেশে এ হার মাত্র ৬০ শতাংশ। এসএমই খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারি নীতি সহযোগিতা আরো বাড়াতে হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান এ.কে.এম শামসুদ্দোহা। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, পরিচালক বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, মোঃ নাসের, সৈয়দ আলমাস কবির, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, উপদেষ্টা মঞ্জুর আহমেদ, স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ, তাসফিয়া জসিম, এএসএম মাইনুদ্দীন মোনেম, সৈয়দ হাবীব আলী, মুনীর আহমেদ, আয়েশা সিদ্দিক, শামীমা শিরিন, ড. মো. নাজমুল ইসলামসহ আরো অনেকে।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231558 views