ঐতিহ্যপর্যটন

এই বাজারে খিচুড়ি ১৫ টাকা প্লেট!

0
এই বাজারে খিচুড়ি ১৫ টাকা প্লেট!

বগুড়ার সাতমাথার ঐতিহ্যবাহী টেম্পল রোডে ‘ম্যাগনেট মামার খিচুড়ি এই ঊর্ধ্বগতির বাজারেও ১৫ টাকা প্লেট।

আসল নাম সোহরাব হোসেন। বয়স ৭০-৭৫ বছরের মধ্যে। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশাল পাতিলের ভেতর ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ি নাড়ছেন তিনি। পাশে ছোট একটি গামলায় বেগুন ভাজি, আলু ভর্তা, ডালের বড়া, চাটনি ও ডিম ভুনা।

অবাক কার বিষয় দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির কালে মাত্র ১৫ টাকায় মিরবে এক প্লেট খিচুড়ি। সাথে অন্য কিছু নিলে (বেগুন ভাজি, আলু ভর্তা, ডালের বড়া) দাম মাত্র ৫ টাকা আর ভুনা ডিম নিলে ১৫ টাকা।

সোহরাব হোসেন জানান, এখানকার সবাই আমাকে ম্যাগনেট মামা নামেই চেনেন। তিনি আগে বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন। ওস্তাদ যখন যা বলতেন, তা একদম দ্রুতগতিতে করতেন বলে নাম হয়েছে ম্যাগনেট।

দাম নিয়ে ম্যাগনেট মামা বলেন, ‘দেখতেই তো পাচ্ছেন একদম রাস্তার ওপর আমার দোকান। কোনো ভাড়া দেওয়া লাগে না। কারেন্ট বিল নাই, কিচ্ছু নাই। বাড়িওয়ালী রান্না করে, আমি এনে বিক্রি করি। প্রথম যখন বিক্রি করি; তখন মাত্র ২ টাকা নিতাম। সেখান থেকে তিন টাকা, পাঁচ টাকা, সাত টাকা, দশ টাকা। এরপর ১৫ টাকা। দেখি কতদিন ১৫ টাকায় বিক্রি করতে পারি!’

জানা গেলো, প্রায় ৪০ বছর ধরে এখানে খিচুড়ি বিক্রি করেন। পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিন্তা করলেও এ দাম যে খুব একটা বেশি, তা নয়। ম্যাগনেট মামা সকাল ৬টায় খিচুড়ির হাঁড়ি নিয়ে বসেন। দুপুর ২টা-৩টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায় সব। দিনে প্রায় ২০ থেকে ২২ কেজি চালের খিচুড়ি রান্না করেন। এ অল্প সময়ে তিনি ৫-৬ হাজার টাকার খিচুড়ি বিক্রি করেন।

সোহরাব হোসেনের নিয়মিত ক্রেতা রিকশাচালক, বাস ড্রাইভার, কন্ডাক্টর, কুলি, দিনমজুর, ভিক্ষুক এবং মেসের ছাত্ররা। এককথায় একদম নিম্ন আয়ের মানুষ।

আরও পড়ুনঃ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গভীর মহাকাশে আলোর সবচেয়ে উজ্জ্বল ঝলকানি দেখে বিস্মিত

শরীরে পানি ছোঁয়ানো অশুভ, গোসলের বদলে মাখেন মাটি!

Previous article

১৩ বছর ধরে নারীদের রেইনকোট চুরি!

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *