জাতীয়রাজনীতিশীর্ষ সংবাদ

এদেশের আন্দোলন সংগ্রামে কবি ও আবৃত্তিকারদের অবদান বেশি:- প্রধানমন্ত্রী

0
images 4

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালি সংস্কৃতি ও বাংলা ভাষার উপর বার বার আঘাত এসেছে, কিন্তু বাঙালি থেমে থাকেনি। তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর এদেশের আন্দোলন সংগ্রামে কবি ও আবৃত্তিকাররাই সবচেয়ে বেশী অবদান রেখেছেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সামনে রেখে আবত্তি সমন্বয় পরিষদ আয়ােজিত বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৱসব ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্টশালা মিলনায়তনে আয়ােজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে এবারই প্রথমবারের মত প্রদান করা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক।

বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যােগ দেন তথ্য ও সম্প্রচার
মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ., শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি। দেশবরেণ্য সংস্কৃতিজন এবং রাজধানীর আবৃত্তি সংগঠনগুলাের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক’ প্রদান করা হয়েছে। ২০২০ সালে এ পদকে ভূষিত হয়েছেন।

গােলাম মুস্তাফা (মরণােত্তর), ২০২১ সালে সৈয়দ হাসান ইমাম ও আশরাফুল আলম এবং ২০২২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদকে’ ভূষিত হয়েছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কাজী মদিনা ও ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিন সংস্কৃতিবান্ধব কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এবং গুণী আবৃত্তিশিল্পীসহ ৫০জনকে ‘বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক প্রদান করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আবৃত্তি স্মারকে ভূষিত প্রতিষ্ঠানগুলাে হচ্ছে: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর, ঢাকা মেট্রোপলিটন
পুলিশ, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবং ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র- টি.এস.সি., ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আবৃত্তি স্মারকে ভূষিত ব্যক্তিরা হচ্ছেনরামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, ম. হামিদ, পিযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, ডঃ মুহাম্মদ সামাদ, বিপ্লব বালা, গােলাম কুদ্ছ, লিয়াকত আলী লাকী, ড. আব্দুল মালেক, হারুন-অর-রশিদ, সুবর্ণা মুস্তাফা, সাগর লােহানী, কেয়া চৌধুরী, নিমা রহমান, প্রজ্ঞা লাবনী, লায়লা আফরােজ, ডালিয়া আহমেদ, ইস্তেকবাল হােসেন, বেলায়েত হােসেন, রূপা চক্রবর্তী, মােহাম্মদ কামাল, মীর বরকত, হাসান আরিফ, গােলাম সারােয়ার, এনামুল হক বাবু, শিমুল মুস্তাফা, মােকাদ্দেস বাবুল, আজমল হােসেন লাবু, আবু সুফিয়ান কুশল , আলম আরা জুই, সমরজিৎ দাস টুটুল, রফিকুল ইসলাম, রেজীনা ওয়ালী লীনা, ইকবাল খােরশেদ, ফয়জুল আলম পাপ্পু, মাহিদুল ইসলাম, কাজী মাহতাব সুমন, রাশেদ হাসান, আজহারুল হক আজাদ, মীর মাসরুর জামান রনি, মাসুদুজ্জামান, আহসান উল্লাহ তমাল, সৈয়দ শহীদুল ইসলাম নাজু, অনন্যা লাবনী পুতুল, শিরিন ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, ঝর্না সরকার এবং
নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলী।

মরণােত্তর স্মারকে ভূষিত গুণীরা হচ্ছেন: ওয়াহিদুল হক, নাজিম মাহমুদ, কামাল লােহানী, নিখিল সেন, অধ্যাপক নরেন বিশ্বাস, কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী, মৃনাল সরকার, হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য, তারিক সালাহউদ্দীন মাহমুদ, খান জিয়াউল হক, এস এম মহসিন, কাজী আরিফ, ইশরাত নিশাত, রণজিত রক্ষিত, কামরুল হাসান মঞ্জু এবং খালেদ খান।

বিশিষ্ট শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নেতৃত্বে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে শিশু আবৃত্তিশিল্পী ইহসান ইমাম অতুল; বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর এমপি’র পক্ষে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করে শিশু
আবৃত্তিশিল্পী অমিয়া অমানিতা এবং বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মােঃ আহকাম উল্লাহ্’র পক্ষে উত্সব পতাকা উত্তোলন করে শিশু আবৃত্তিশিল্পী সেমন্তী রােদসী।

শিশুদের পরিবেশনায় মীর মাসরুর জামান রনির গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের ওপর ভিত্তি করে আবৃত্তি প্রযােজনা ‘স্বাধীনতার অমর কাব্য’ মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

জন্মের সুবর্ণে জাগাে সম্প্রীতির স্বরে, মুক্তির ডাক দেয় পিতা আজও ঘরে ঘরে’- এই শ্লোগানে আয়ােজিত ঐতিহাসিক উত্সবের উদ্বোধন পর্বে জেলা পর্যায়ের আবৃত্তি সংগঠনগুলাের প্রতিনিধিরা স্থানীয় পর্যায় থেকে অনলাইনে অংশ নিয়েছেন।

সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুর তদন্ত দাবি

Previous article

বিএনপি তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত:- তথ্যমন্ত্রী

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *