ব্যবসা-বাণিজ্য

এসডিজি বাস্তবায়নে বিজেআরআইয়ের পর্যালোচনা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

2
bjri

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) এর সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম, অগ্রগতি, প্রতিবন্ধকতা ও ভবিষ্যৎ করণীয় পর্যালোচনা শীর্ষক এক কর্মশালা বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিজেআরআই এর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিজেআরআই মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল আউয়াল এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি অনুবিভাগ) মো. রুহুল আমিন তালুকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (পিপিবি অধিশাখা) মোসাম্মাৎ জোহরা খাতুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, জিডিপিতে পাটের অবদান শতকরা ১ দশমিক ৪ ভাগ এবং কৃষিতে ২৬ ভাগ অর্থাৎ মোট জিডিপিতে পাটের অবদান ৮ বিলিয়নের মতো। আবার ৮ বিলিয়নের ১ দশমিক ২ বিলিয়ন আমরা রপ্তানি করি। তবে পাটের রপ্তানি টু জিডিপি অনুপাত অন্য যেকোনো সেক্টরের থেকে বেশি।

পাটের উৎপাদনশীলতাকে দ্বিগুণ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, স্ব-স্ব ইনস্টিটিউটকে তাদের পণ্যের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। তিনি বলেন, “উৎপাদনশীলতা বাড়লে ইউনিট প্রতি খরচ কমবে, ইউনিট প্রতি খরচ কমলে লভ্যাংশের অনুপাত বাড়বে, আর লভ্যাংশের অনুপাত বাড়লে আয় বাড়বে, ফলে দারিদ্রতা কমবে। একই সাথে জীবন যাত্রার মান বাড়বে, ক্ষুধার্ততা কমবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা বাড়বে। এভাবে চক্রাকারে একটির সাথে আর একটি জড়িত এবং সামগ্রিভাবে দেশের উন্নতি হবে।”

আরও পড়ুনঃ আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করায় চিনির দাম বেড়েছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

এসডিজি’র ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতায় অবদান রাখার কথা উল্লেখ করে অতিরিক্ত সচিব বলেন, আয় বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে হবে, টেকসই কৃষিতে অবদান রাখতে হবে। এক হেক্টর জমিতে ১০০ দিনের পাট বায়ুমন্ডল থেকে ১৫ টন কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং ১১ টন অক্সিজেন ত্যাগ করে, যা একটি পরিবেশ বান্ধব ফসল। বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পাট শাক চাষ করে পরিবারের পুষ্টির নিশ্চয়তা প্রদান করা যেতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. আবদুল আউয়াল বলেন, বাংলাদেশ সরকার খুবই সফলতার সাথে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) সম্পন্ন করছে। এসডিজিতেও সফলতার আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এসডিজি বাস্তবায়ন সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়, সকলকে এক যোগে কাজ করতে হবে।

“পাটের একটি সমস্যা হলো বীজের সমস্যা। পাটের জমিতে যদি পাট বীজ উৎপাদন করা হতো তবে এই সমস্যা দূর করা সম্ভব”-উল্লেখ করে আবদুল আউয়াল বলেন, আমরা কেনাফ বীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্ন হয়েছি, বিজেআরআই এর সহায়তায় কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার কিরাটন ইউনিয়নে কেনাফ বীজ উৎপাদন সমিতি গড়ে তোলা হয়েছে। এতে মোট বীজ উৎপাদনকারী কৃষক বা কৃষানীর সংখ্যা প্রায় ৬১২ জন।

কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ও অর্থ উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ ড. এস এম মাহবুব আলী এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (নীতি-৩ শাখা) মোহাম্মদ ইয়ামিন খান।

দক্ষ উদ্যোক্তা গড়তে একসাথে কাজ করবে ই-ক্যাব-এসএমই ফাউন্ডেশন

Previous article

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

Next article

You may also like

2 Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *