স্বাস্থ্য

কর্ণিয়া দানের মাধ্যমে মানুষের অন্ধত্ব দূর করা সম্ভব : বিএসএমএমইউ উপাচার্য

0
kornia

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কর্ণিয়া দান করে মানুষের অন্ধত্ব দূর করা সম্ভব। এটি একটি মহতী কাজ। কর্ণিয়া দান করে মৃত্যুর পরেও অন্যের চোখের দৃষ্টি হয়ে বেঁচে থাকতে পারেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, মানুষের কর্ণিয়া দান একটি সহজ প্রক্রিয়া এবং এর মাধ্যমে মুখমন্ডলের কোনো বিকৃতি হয় না। এর অভাবে অন্ধত্ব দূরীকরণ কার্যক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। কর্ণিয়া দানে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণমাধ্যম বিরাট ভূমিকা রাখতে পারেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো: শারফুদ্দিন আহমেদ শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগে অপারেশনের মাধ্যমে কর্ণিয়া প্রতিস্থাপনকারী ৬ জন রোগীর চক্ষু পরীক্ষা করেন। এসময় তিনি কর্ণিয়া দানে উৎসাহিত হয়ে ও অন্ধত্ব দূরীকরণের কার্যক্রম সফল করতে সবার প্রতি আহবান জানান।

আরও পড়ুনঃ ইচ্ছানুরূপ ব্যবহারে কার্যকারিতা হারাচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক

গত ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ ও কমিউনিটি অফথালমোলজী বিভাগের উদ্যোগে ৬ জন রোগীর চোখে কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়। রোগীদের চোখে কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন করেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শীষ রহমান এবং সহকারী অধ্যাপক ডা. রাজশ্রী দাশ। এসব কর্ণিয়া সংগ্রহে নেপালের তিলগঙ্গা আই ইনিস্টিটিউট চক্ষু ব্যাংক ও নেপালী চিকিৎসকগণ সহায়তা করেন।

বিএসএমএমইউয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অচিরেই সংযোজনের জন্য কর্ণিয়া পাঠাবে। এজন্য ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়াগো আই ব্যাংকের সাথে এমওইউ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

দেশে কর্ণিয়া সংযোজনে জনগণের অসচেতনতা এবং কর্ণিয়া সংগ্রহের অপ্রতুলতার কারণে রোগীর চোখে কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয় না। সে কারণে উপাচার্য বিভিন্ন বন্ধু রাষ্ট্রের সহায়তায় কর্ণিয়া সংযোজনের জন্য এমওইউ চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিয়েছেন।

ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে হোয়াটসঅ্যাপ

Previous article

স্টার সিনেপ্লেক্স এবার রাজশাহীতে

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *