কৃষি

কলা চাষে ঝুঁকছেন বগুড়ার শিবগঞ্জের চাষিরা

0
kola

কাক ডাকা ভোরে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারায় রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের কলার হাটে ক্রেতা বিক্রেতাদের কেনা-বেচায় মুখরিত হয়ে ওঠে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাকডাকও বেড়ে যায়। সকাল থেকে কলার হাটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারীরা আসে হাটে। আবার অনেকে কলা চাষিদের বাড়িতে রাতে অবস্থান নেয়। যাতে কাক ডাকা ভোরে কিনে নিয়ে গন্তব্যে পৈাঁছতে পারে।

জায়গাটির নাম চন্ডিহারা হলো কেনো কেউ বলতে পারেনা। তবে নাম যাই হোক শিবগঞ্জ উপজেলা বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে খুব কম খরচে কলার আবাদ হয়ে থকে। আর সেই কলার হাট বসে চন্ডিহারার রাস্তার পশে দেড় থেকে ২ কিলোমিটার জুড়ে। ভোরে কলা চাষিরা রিকশা ভ্যান ভর্তি করে কলা নিয়ে আসে চন্ডিহারা হাটে। প্রতি বুধবার ও শনিবার এ চন্ডিহারায় বসে কলার হাট।

কলা রুয়ে না কাটো পাত, তাতেই কাপাড় তাতেই ভাত। কলার গাছ রোপণের পার পাতা না কাটলে ভলো ফলন পাওয়া যাবে। তাতে ভাত-কাপড়ের অভাব হবে না। শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা গ্রামের আবুল মুনছুর জানান, তিনি খনার এ বচন মাথায় রেখে কলার পাতা না কেটে ফলন পেয়েছেন ভালো।

তার মতো অনেক কৃষক কলার উৎপাদন ও ভালো দাম পেয়ে খুশি। তাদের অনেকে কলা চাষ করে পাকা বাড়ি করেছেন, অনেকে ছেলে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করার স্বপ্নে বিভোর। কলায় লাভ বেশি হওয়ায় শিবগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে চাষিরা কলা চাষে ঝুঁকছেন।

হাটের বিষয়ে কলা চাষি আকরাম জানান ,হাট বারে এখানে কুষ্টিয়া, যশোর, জয়পুরহাট, ঢাকা, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলার ব্যাপরীরা আসে। প্রতি হাটবারে প্রায় ২০ ট্রাক কলা বিক্রি হয়ে হাটে। সাগর কলা, রঙিন সাগর, স্থানীয় ভাষায় অনুপম, এঁটে, চাঁপা কলাসহ প্রচুর কলার সমাহার হাটে। জেলার কাহালু উপজেলার কলার ব্যাপারী আনছার হোসেন জানান, তিনি প্রায় ৩০ বছর এ হাট থেকে কলা কিনে নিয়ে তার এলাকায় পইকারীতে বিক্রি করে থাকেন। তাতে বেশ ভালো দাম পেয়ে থাকেন। জেলার অনেক জায়গায় কেজিতে আবার হালিতেও খুচরা বিক্রি হয়ে থাকে।

আরও পড়ুনঃ পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী বরিশালের চাষিরা

এক কাঁদি চাঁপা কলা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। এক কাঁদিতে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ কলা থাকে। খুচরা বাজারে এ কলা ১৫ থেকে ২০ টাকা হালি আবার ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়ে থাকে। সাগর ও রঙিন সাগর কলার দামও প্রায় একই রকম। তবে সপরী কলার দাম কৃষকরা ভালো পেয়ে থাকেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, পুরো জেলায় এবার ৬০০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা সম্পূর্ণ পূরণ হয়েছে। এ উৎপাদন সারা বছর চলমান থাকে। শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আল মুজাহিদ জানান, এ হাট থেকে ২০ ট্রাক কলা বিক্রি হয়ে থাকে। ট্রাক প্রতি ১০ থেকে ১২ টন কলা বহন করতে পারে। এতে প্রতি হাটবারে ১৫০ টন থেকে পৌনে ২০০ টন কলা বিক্রি হয় এ হাট থেকে। তবে ভালা দাম পেয়ে চাষি ও ব্যাপরীরা খুশি।

৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা

Previous article

কুয়েতে বিশ্ব কোরআন প্রতিযোগিতায় ৩য় বাংলাদেশি হাফেজ আবু রাহাত

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More in কৃষি