প্রবাস জীবন

কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ভারতে পাচার হওয়া ১৩ বাংলাদেশি

0
probas

ভালো কাজের আশায় ভারতে পাচার হওয়া ১৩ বাংলাদেশি নারী, পুরুষ ও শিশু কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন। বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে রোববার (২৩ জুন) রাত ১০ টায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।

যারা ফেরত এসেছেন তারা হলেন, বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার আমজাদ তালুকদারের ছেলে রফিক তালুকদার (৫৩) ও তার ছেলে মামুন তালুকদার (২৫), একই জেলার মোল্যারহাট উপজেলার সালেক শিকদারের ছেলে নাজমুল শিকদার (৩৮), খুলনা জেলার রুপসার আক্কাস ভূঁইয়ার ছেলে রাজু ভূঁইয়া (২৫), একই থানার আব্দুল আজিমের মেয়ে আফসানা আক্তার (২৩) তার ছেলে আমিন (৬) তার মেয়ে ফাতিমা (৪), একই থানার নজরুল শেখের ছেলে ওমর ফারুক শেখ (২৬), খুলনা সদরের আল আমিন হাওলাদারের মেয়ে মরিয়ম আক্তার (২৩), নড়াইল জেলার কালিয়া থানার আফজাল মোল্লার ছেলে আব্দুল সাত্তার (৫০), খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙার শামছুর শেখের মেয়ে ফাতেমা (২৮), পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার আল আমিন হাওলাদারের ছেলে ফাহিম হাওলাদার (২) ও মাহীম হাওলাদার (৪)।

আরও পড়ুনঃ জাতিসংঘে ৩ বছর মেয়াদি ইকোসোক নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশ

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, ভালো কাজের আশায় দালালচক্রের মাধ্যমে দেড় থেকে দুই বছর আগে ১৩ বাংলাদেশি বিভিন্ন সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। এরপর সেখানে তারা পুলিশের হাতে আটক হন। পরে ভারতীয় পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান।

কারাভোগের পর ভারতের মানবাধিকার সংস্থা রেসকিউ ফাউন্ডেশন তাদের গ্রহণ করে নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে। ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে রোববার রাতে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামের একটি মানবাধিকার সংস্থা গ্রহণ করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।

যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন জানান, ফেরত আসাদের যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করে রাতেই তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।

জুয়েলারি মেশিনারিজ প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে আগামী ৪ জুলাই

Previous article

পিরোজপুরে চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে ৪০ হাজার নারিকেল চারা প্রদান করা হচ্ছে

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *