বিনোদন

কৃষ্ণচূড়ার দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য রাঙিয়ে তুলছে কুমিল্লার পথ-প্রান্তর

1
krshnchr1

“গন্ধে উদাস হাওয়ার মতো উড়ে তোমার উত্তরী কর্ণে তোমার কৃষ্ণচূড়ার মঞ্জরি” কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতো অনেকেই বাংলা কবিতা-গানে উপমা হিসেবে নানা ভঙ্গিমায় এনেছেন কৃষ্ণচূড়াকে। নগরীর রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে ও গুরুত্বপূর্ণ অফিস, বাসভবনে অসংখ্য কৃষ্ণচূড়া গাছ ডাল-পালা ছাড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এসব গাছে-গাছে ফুটে থাকা লাল ফুল পুরো নগরকে রাঙিয়ে তুলেছে।

দেশের গ্রামীণ জনপদের পাশাপাশি এ পুষ্পবৃক্ষটি শহরের পথে-প্রান্তরেরও শোভা বর্ধন করে যাচ্ছে। গ্রীষ্মে যখন এই ফুল ফোটে তখন প্রকৃতি প্রেমীদের হাতছানি দেয়। কৃষ্ণচূড়ার এই অপরূপ রূপে মোহিত হয়ে উঠছে ভাবুক মন।

রক্তরাঙা ফুল কৃষ্ণচূড়ার নয়নাভিরাম সৌন্দর্য্য গ্রামের সবুজ প্রান্তর, আঁকাবাঁকা মেঠোপথ ও বাড়ির আঙ্গিনা ছাড়িয়ে রাঙিয়ে তুলেছে কুমিল্লার পথ-প্রান্তর। বাংলা প্রকৃতির রূপরঙ্গের প্রথম ঋতু গ্রীষ্ম। আর এ গ্রীষ্মেই কুমিল্লার রাস্তার মোড়ে-মোড়ে আর বিভিন্ন ভবন ও অফিস পাড়ায় গাছে গাছে কৃষ্ণচূড়ার লালআভা সৃষ্টি করেছে বৈচিত্র্যময় পরিবেশ। চৈত্রের শুরুতেই নগর, গ্রাম-গঞ্জের দৃশ্যপট মোহনীয় করে তুলেছে রক্তরাঙা কৃষ্ণচূড়া ফুল।

কৃষ্ণচূড়া, যে ফুল গাছের দিকে তাকালে চোখ জুড়ে যায়। এ ফুল গাছের আদিনিবাস পূর্ব আফ্রিকার মাদাগাস্কারে হলেও সমগ্র এশিয়া জুড়ে কৃষ্ণচূড়ার জুড়ি নেই। ভারত ও পাকিস্তানে কৃষ্ণচূড়া গুলমোহর নামেই পরিচিত। বাংলাদেশে কৃষ্ণচূড়ার ডালে এ ফুলের আর্বিভাব ঘটে চৈত্রের শুরুুর দিকে। চারিদিকে ছড়িয়ে দেয় তার রক্তরাঙা রূপ। কেবল গ্রামেই নয়, নগর জীবনেও মানুষের দৃষ্টির সীমানায় স্থান করে নিয়েছে কৃষ্ণচূড়া।

আরও পড়ুনঃ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য আবেদন আহ্বান

কুমিল্লা নগরীর রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে ও গুরুত্বপূর্ণ অফিস, বাসভবনে অসংখ্য কৃষ্ণচূড়া গাছ ডাল-পালা ছাড়িয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এসব গাছে গাছে ফুটে থাকা লাল ফুল পুরো নগরকে রাঙিয়ে তুলেছে।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের বাসভবন ও কার্যালয়ে, পুলিশ সুপারের বাসভবন ও কার্যালয়ে, নগরীর পুলিশ লাইন এলাকায়, শিল্পকলা একাডেমি, গণপূর্ত ভবনের সামনে, মোগলটুলি টেলিগ্রাফ অফিসের সামনে, ফোজদারী মোড়ে, জেলা পরিষদ ও নগর ভবনের রাস্তার পার্শ্বে, রেইসকোর্স কৃষি ব্যাংকের সামনে, বাদুরতলা চার্চের সামনে, ধর্মসাগররের দক্ষিণ পাড়ে মহিলা মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে, পার্ক চত্বরে, ঐতিহাসিক রাণীর কুটিরের ভেতরে, স্টেশন ক্লাবের গেইটে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস আঙ্গিনায় ও ধর্মসাগরের পূর্বপাড়ে, কুমিল্লা জিলা স্কুল চত্বরে, চকবাজার রোডের আমীরদীঘির উত্তর পাড়ে এবং হাউজিং এস্ট্রেটের অধিকাংশ বাড়ীর সামনেসহ নগরীর অন্যান্য স্থানেও দেখা মিলবে রক্তরাঙা ফুলে আচ্ছন্ন কৃষ্ণচূড়া গাছের। কৃষ্ণচূড়া ফুলের রক্তিম জাগরণ পথচারিদের মুহূর্তের জন্য হলেও শিহরণ জাগায় এবং রোদ্দুর দুপুরে কৃষ্ণচূড়ার ছায়া দেয় প্রশান্তি।

খুব ধীরগতিতে কমছে বাল্য বিয়ের সংখ্যা : ইউনিসেফ

Previous article

ওয়ানডেতে বাবরের বিশ্ব রেকর্ড

Next article

You may also like

1 Comment

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *