তথ্য ও প্রযুক্তিবিজ্ঞান

চাঁদে বসতি গড়তে প্রস্তুত বিজ্ঞানীরা

0
moonm

পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষের কাছে ‘চাঁদের মতো সুন্দর’ এক অনন্য সাধারণ উচ্চারণ। সেই কারণেই মানুষ সবসময় চাঁদে যাওয়ার এবং চাঁদে বসতি স্থাপনের স্বপ্ন দেখে। তবে এখন এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের খুব কাছাকাছি চলে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা এমন একটি কৌশল বার করেছেন, যার মাধ্যমে চাঁদে উপস্থিত পাথর থেকে অক্সিজেন বার করে একটি মানব বসতি (সায়েন্টিস্ট প্ল্যানিং লুনার ভিলেজ) তৈরি করা হবে।

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এই প্রযুক্তির ব্লুপ্রিন্ট তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থাকে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) একটি বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে ৮.৪০ লাখ পাউন্ড স্টার্লিং অর্থাৎ ৮৪৭ মিলিয়নের মার্কিন ডলারের চুক্তি করেছে। সেই প্রাইভেট কোম্পানির নাম থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস। কোম্পানিকে এমন একটি প্রযুক্তির ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে, যাতে পরীক্ষামূলক ভাবে পাথর (থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস) থেকে অক্সিজেন বের করা যায়।

ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি চাঁদের পাথর থেকে অক্সিজেন তোলার জন্য এমন একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পরিকল্পনা করেছে, যাতে চাঁদে একটি মনুষ্যবিহীন মহাকাশযান পাঠানো যায় এবং মানুষের বসতি গড়ে তুলতে সহায়তা করা যায়। এই কৌশলের মাধ্যমে চাঁদের পাথর ভেঙে তা থেকে অক্সিজেন তোলার পর মহাকাশযানটির একটি বিশেষ ট্যাঙ্কে রাখা হবে। থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেসের রজার ওয়ার্ডের মতে, এই প্রকল্পটি আগামী দুই বছরের মধ্যে চালু করা হবে। তারা চাঁদে একটি গবেষণা কেন্দ্র নির্মাণ করতে চায়।

বর্তমানে চাঁদে যাওয়া এত সহজ নয়, তবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে একজন মানুষের জন্য চাঁদে যাওয়া সহজ হবে। অন্য যে কোনো গ্রহে বসবাসের জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন সম্পদ। দক্ষিণ ইয়র্কের রদারহ্যামে অবস্থিত ব্রিটিশ ফার্ম মেটালিসিস একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া তৈরি করেছে যা পাথর থেকে অক্সিজেন অপসারণ করতে পারে। এ ধরনের অক্সিজেন সংগ্রহ করে চাঁদে একটি রিফুয়েলিং স্টেশন তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে মহাকাশে বহুদূরে মানব মিশন পাঠানো যাবে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সম্পর্ক আগামীতে আরো জোরদার হবে: প্রধানমন্ত্রী

Previous article

ছোলা-খেজুর পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *