তথ্য ও প্রযুক্তিবিজ্ঞান

চাঁদে সফল অভিযানের পর প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করেছে নাসার ওরিয়ন মহাকাশযান

0
nsa

চাঁদের কাছাকাছি দিয়ে প্রদক্ষিণ করার পরে নভোচারীদের বহনযোগ্য মহাকাশযানের সর্বোচ্চ দূরত্বে ভ্রমণ শেষে ওরিয়ন ক্যাপসুল রোববার (১১ ডিসেম্বর) পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। ক্রুবিহীন ওরিয়ন ক্যাপসুলটি আর্টেমিস মিশনের চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এটি পৃথিবীতে অবতরণ করেছে।

এটি প্রতি ঘন্টায় ২৫,০০০ মাইল (৪০,০০০ কিলোমিটার) বেগে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে আঘাত করে, এতে বায়ুমন্ডলের বাধায় ক্যাপসুলটি ২,৮০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড (৫,০০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রার মুখোমুখি হয়।

মেক্সিকান দ্বীপ গুয়াডালুপের কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে রোববার স্থানীয় সময় ৯ টা ৩৯ মিনিটে (১৭৩৯ জিএমটি) এটি অবতরণ করেছে। ২৫ দিনেরও বেশি সময়ের এই মিশনে সাফল্য অর্জন করা নাসার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ, ক্যাপসুলটি মানুষকে চাঁদে পাঠাতে এবং ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত করার কারণে আর্টেমিস প্রোগ্রামে কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ মঙ্গল গ্রহে আছড়ে পড়া উল্কার আঘাতে গ্রহটি কেঁপে উঠেছিলো : নাসা

ক্রুবিহীন এই মহাকাশযানের প্রথম পরীক্ষা এখন পর্যন্ত খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আর্টেমিস মিশন ম্যানেজার মাইক সারাফিন বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা সরঞ্জাম। এটি মহাকাশযানে থাকা মহাকাশচারীদের সুরক্ষার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তাই এটির জন্য তাপ প্রতিরোধক শিল্ডের দরকার।’

প্রশান্ত মহাসাগরে ওরিয়ন ক্যাপসুল পুনরুদ্ধারের জন্য ইউএস নৌবাহিনীর একটি জাহাজ, ইউএসএস পোর্টল্যান্ড মহাসাগরের অবতরণ এলাকার কাছে অবস্থান করছিলো। বছরের পর বছর ধরে নাসা এই অনুশীলন করে আসছে। এ কাজে হেলিকপ্টার ও স্ফীত নৌকা ও ডুবুরি মোতায়েন করা হয়েছিলো।

পতনশীল মহাকাশযানটি প্রথমে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের বাধায় গতি ধীর হয়ে আসে তারপরে এটির গতি প্রতি ঘন্টায় ২০ মাইল (৩০ কিলোমিটার) গতিতে চলে আসার পর, ১১টি প্যারাশুটের একটি ওয়েব ব্যবহার করা হয়। অবশেষে প্রশান্ত মহাসাগরের নীল জলে আছড়ে পড়ে মহাকাশযানটি।

সাইবার নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ মন্ত্রিসভার

Previous article

প্রতিবন্ধকতা জয় করে ক্যাটারিং ব্যবসায় নিশাত সুলতানা

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *