উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা চাকরির পাশাপাশি একজন উদ্যোক্তা নুসরাত সুলতানা রেখা By নিজস্ব প্রতিবেদক August 10, 20228 ShareTweet 8 উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, নিজের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেছেন নুসরাত সুলতানা রেখা। চলুন শুনি তার উদ্যোক্তা জীবনের গল্প। আমি নুসরাত সুলতানা রেখা, নরসিংদীর মনোহরদীতে জন্ম এবং সেখানেই বেড়ে উঠা। আমার খুব কাছের এক বান্ধবী, আমরা একসাথে চাকরি করেছি, সে এখন অনেক বড় বিজনেস উইমেন। সে সবসময়ই চাইতো আমিও তার মতো বিজনেস করি, আমার যে মেধা আছে তা যদি ক্রিয়েটিভ কোনো কাজে ব্যবহার করি তাহলে খুব ভালো করতে পারবো। পাশাপাশি আমার স্বামীও খুব সহযোগিতা করেছে। বান্ধবীর অনুপ্রেরণায় এবং স্বামীর সহযোগিতায়, ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়াশোনা করে মানব-সম্পদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েও আজ আমি উদ্যোক্তা। আমি কাজ করছি বাচ্চাদের কাস্টমাইজ পোশাক নিয়ে। আমার প্রতিষ্ঠানের নাম “Beticrome Avenue-ব্যতিক্রম এভিনিউ”।আমার ড্রেসের বিশেষত্বঃ– দেশীয় কাপড়ের ছোঁয়া– আরামদায়ক এবং ফ্যাশনের সমন্বয়– ডিজাইন এবং কালার কাষ্টমাইজ সুবিধা– সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়– কোয়ালিটির নিশ্চয়তা ৭ লাখ টাকা দিয়ে নরসিংদীতে শোরুম এর মাধ্যমে ২০১৮ সালে আমার উদ্যোগ শুরু করি। সেখানে আমার বান্ধবী সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়েছিলো। ২০২০ সালে সবাই যখন করোনা মহামারির মধ্যে ঘরবন্দী, তখনই আমি অনলাইনে আমার উদ্যোগ শুরু করি। আমার মতে একজন উদ্যোক্তা হতে গেলে প্রয়োজন পরিশ্রম, ধৈর্য এবং দুরদর্শিতা। বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানে ৩ জন কর্মী রয়েছে। আমি চাকরির পাশাপাশি স্বপ্ন দেখি একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার। সবার থেকে আলাদা, ভিন্ন কিছু করার লক্ষ্যে আমার “ব্যতিক্রম এভিনিউ” এগিয়ে চলছে। আমরা নারীরা আগের থেকে এখন অনেক এগিয়ে। সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋন সহায়তাসহ বিভিন্ন ট্রেনিং এর মাধ্যমে নারীদেরকে স্বাবলম্বী করছে। আমি যেহেতু চাকরিজীবী নারী, সেক্ষেত্রে সময় ম্যানেজ করাটা অনেক ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পড়ে। প্রতিবন্ধকতা বলতে আমি অনেক সময় বিভিন্ন ট্রেনিং, এক্সিবিশন এর সুযোগ পাওয়া স্বত্বেও অফিস থাকার কারনে অংশগ্রহণ করতে পারি না। আলহামদুলিল্লাহ সেল ভালো হচ্ছে। আমার “ব্যতিক্রম এভিনিউ” এর প্রতি কাষ্টমার এর আস্থাই আমাকে আরো বেশি কাজ করার আগ্রহ তৈরি করে।আলহামদুলিল্লাহ আমি ‘উইমেন এন্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট (উই)’ থেকে উইন্সপায়ার গ্র্যান্ট হিসেবে টাকা পেয়েছি। কাষ্টমার এর বিশ্বস্ততা আমার প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় অর্জন। আরও পড়ুনঃ নারীদের স্বাবলম্বী হওয়াটা বেশি জরুরি: নূর-ই-নাজমীন লুনা বর্তমান বিশ্ব স্মার্ট ডিভাইস এর মাধ্যমে ভার্চুয়াল জগতের সাথে বেশি মিশে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত মানুষ আরো বেশি অনলাইনে কেনাকাটার প্রতি আসক্ত হবে। আমি আমার “ব্যতিক্রম এভিনিউ” কে অনলাইন জগতে সবার কাছে একনামে পরিচিত করে তুলতে চাই। চাকরির পাশাপাশি আমি নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ৫ বছরের মধ্যে আমি আমার “ব্যতিক্রম এভিনিউ” এর মাধ্যমে অন্তত ২০ জন লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই। আমি মনে করি প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও দৃঢ় মনোবল মানুষকে তার স্বপ্নের দাড়প্রান্তে পৌঁছে দিতে সহায়তা করে।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231560 views