উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা চাকরি ছেড়ে জুতার ব্যবসা, মাসিক আয় বেড়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার By রিপোর্টার September 14, 20222 ShareTweet 2 পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় সংসারের হাল ধরতে ২০ টাকা বেতনে জুতার দোকানে চাকরি নেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শেখ রাসেল মজুমদার। বর্তমানে তার মাসিক আয় ৩ লাখ টাকা। বাবাকে হারান ২০০৬ সালে, তখন তার বয়স ১৪ বছর। মা গৃহস্থালি কাজের পাশাপাশি হাঁস-মুরগি ও শাকসবজির বাগান করে সংসার চালাতেন। পাঁচ ভাই-বোনের সংসারে দুই বেলা ভাত জোটেনি ঠিকমতো। অর্থের অভাবে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেননি তিনি। বড় ছেলে হওয়ায় পরিবারের হাল ধরতে গিয়ে ২০ টাকা বেতনে চাকরি নেন। ৬ মাস পর সিদ্ধান্ত নেন তিনিও জুতার ব্যবসা করবেন। ধারদেনা করে নেমে পড়লেন ব্যবসায়। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ তিনি সফল উদ্যোক্তা। তার কারখানায় ৪০ জন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এখান থেকে মাসে আয় হয় তিন লাখ টাকা। লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, ফেনীসহ রাসেলের জুতা যায় সারা দেশে। তিনি তার কারখানার নাম দিয়েছেন ‘ইফাদ সু’। রাসেল বলেন, টাকা ধার করে ঢাকায় গিয়ে অনেক জুতা কিনে আনি। তবে আমাদের এই অঞ্চলে চলে, এমন জুতা কিনতে পারি নাই। কিছু জুতা বিক্রি হয়, কিছু থেকে যায়। যেসব জুতা বিক্রি করেছি, সেগুলোতে আবার বাকি পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে যখন শুরু করি, এলাকার মানুষ আমাকে ভালোভাবে গ্রহণ করে। আমিও চিন্তা করি ঘুরে দাঁড়ানোর এটাই মাধ্যম। চাহিদা অনুযায়ী জুতা বানানো। আরও পড়ুনঃ গণিতে অনার্স, চাকরি ছেড়ে কেমন কাটছে খেজুর চাষী নজরুলের দিন কারখানায় তিনটি রুমে জুতা তৈরিতে কাজ করছেন কারিগররা। ট্যানারি থেকে জুতা বানানোর প্রক্রিয়াজাতকরণ আনা চামড়া প্রথমে সাইজ করে কাটা হচ্ছে। বিভিন্ন সাইজে কাটা হলে তা মেশিনের সাহায্যে ফিনিশিং দেওয়া হয়। এরপর পেস্টিং দিয়ে ডিজাইন করা ও পুডিং মারা হয়। পেস্টিং দেওয়া শেষে জুতা পুরোপুরি হয়ে গেলে রং স্প্রে করে শুকাতে দেওয়া হয়। তারপর বাজারজাত করা হয়। রাসেল বলেন, মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছি, আমি আনন্দিত। বাবাকে হারিয়ে মা চিন্তায় পড়ে গেছিলেন, সেদিন পণ করি মাকে সুখী করব। সে মোতাবেক এগিয়েছি। বোনদের বিয়ে দিয়েছি। এক ভাইকে পড়িয়ে সেনাবাহিনীতে পাঠিয়েছি। আমি আর আমার ছোট ভাই ব্যবসা পরিচালনা করি।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231565 views