জীবনযাপন

চা না হলে চলতই না রানি এলিজাবেথের

0
tea

প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান না কেন, বিকেলের চা না হলে চলতই না তার। দিনে চারবেলা খাবার খেতেন তবে তা পরিমাণে থাকত খুবই কম। দিন শুরু হতো চা দিয়ে। খুবই হালকা চা সঙ্গে কুকিজ থাকত তার সকালের নাস্তায়। আবার বিকেলে চা পানের পালা। চায়ের সঙ্গে থাকতো জ্যাম আর স্কোন।

খুবই হালকা আর্ল গ্রে চা পান করতেন তিনি। ভারতের আসামের সিলভার টিপস ইম্পেরিয়াল চায়ের সুগন্ধ তিনি খুবই পছন্দ করতেন। ড্যারেন ম্যাকগ্রেডি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ব্যক্তিগত পাচক হিসেবে ১৫ বছর বাকিংহাম প্যালেসে কাজ করেছিলেন। তিনি তার লেখা একটি বইতে রানির চায়ের প্রতি ভালোবাসার কথা উল্লেখ করেছেন। দুধ বা চিনি ছাড়া চায়ের সঙ্গে কখনো কুকিজ, কখনো স্যান্ডউইচ বা কেক খেতেন রানি। এছাড়াও ওয়াইন ও ককটেল ছিল তার অন্যতম পছন্দের পানীয়।

 

রানি ভিক্টোরিয়া
রানি ভিক্টোরিয়ার শাসনামলে স্কচ, হুইস্কি দিয়ে তৈরি এক ধরনের ককটেল তৈরি হত। যা রানি ভিক্টোরিয়ার ছিল খুবই পছন্দের পানীয়। এটিকে তিনি রাজকীয় পানীয় হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। গ্রীষ্মকালে, রানী ভিক্টোরিয়া স্কটল্যান্ডের উচ্চভূমিতে রাজকীয় বালমোরাল প্রাসাদে হুইস্কি পান করতে পছন্দ করতেন। এছাড়াও ক্লারেট, চা এবং সোডা পানির সঙ্গে হুইস্কি মেশানো এক ধরনের মিশ্রণ খেতে খুবই পছন্দ করতেন।

 

 

আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট
একজন পরাক্রমশালী ও বিশ্বের বৃহত্তম সাম্রাজ্যের শাসক ছিলেন আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট। তার পছন্দের পানীয় ছিল রেড ওয়াইন। তিনি বিশ্বাস করতেন ওয়াইন তাকে নতুন করে উজ্জীবিত করে তোলে। এজন্য প্রতিদিনই তিনি নিয়ম করে রেড ওয়াইন পান করতেন। তবে মাত্র ৩৩ বছর নয়সেই মারা যান আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট।

অনেকেই তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে অতিরিক্ত মদ্যপানকে দায়ী করেছিলেন। তিনি এতোটাই মদ্যপান করতেন যে সেসময় কি করতেন তার কোনো ঠিক ছিল না। প্রাচীন গল্প অনুসারে, একবার মদের প্রভাবে আলেকজান্ডার পারস্যের শহর পার্সেপোলিসকে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন।

 

নেপোলিয়ন বোনাপার্ট
১৯ শতকের গোড়ার দিকে ইউরোপের বেশিরভাগ অংশ জয় করেছিল নেপোলিয়ন বোনাপার্ট। তিনি ওয়াইন খুব পছন্দ করতেন। প্রতিদিনই ওয়াইন পান করতেন। এমনকি ভ্রমণের সময়ও ওয়াইন সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন। যুদ্ধের ময়দানেও ওয়াইন পান করার কথা ভুলতেন না তিনি। তিনি শুধু স্বাদের জন্যই নয়, সুস্বাস্থ্যের জন্য ওয়াইন পান করতেন।

রাজা তুতানখামুন
মিশরের অন্যতম ফারাও তুতেনখামুন ছিলেন ওয়াইনের ভক্ত। সেসময় মিশরেই বিশ্বের সেরা ওয়াইন তৈরি করা হয়। এমনকি এখনো বিশ্বের যেসব দেশে ওয়াইন তৈরি হয় তার মধ্যে মিশরের ওয়াইন বিখ্যাত। রাজা তুতেনখামুন হোয়াট ওয়াইন খেতেন। তবে রেড ওয়াইনও খুব পছন্দ ছিল তার। প্রাচীন মিশরে ওয়াইনকে স্ট্যাটাস সিম্বল বলে মনে করা হতো। এমনকি তুতেনখামুনের সমাধিতেও দেওয়া হয়েছিল অনেকগুলো ওয়াইনের জার।

 

রাজা লুই চতুর্দশ
ফ্রান্সের রাজা লুই চতুর্দশ ফ্রেঞ্চ শ্যাম্পেন এতটাই পছন্দ করতেন যে, তার সব খাবারে এই পানীয় মিশিয়ে দেওয়া হত। বপ্লা যায় যাই খেতেন তার সঙ্গেই মেশানো থাকত শ্যাম্পেন। ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের শ্যাম্পেন নামক একটি স্থান থেকে সংগ্রহ করা হত এই পানীয়। ওই অঞ্চলটিতে বিশ্বের সেরা শ্যাম্পেন এবং প্রসেকো তৈরি হত। জন্য পরিচিত ছিল। ধারণা করা হয়, অঞ্চলটির নামানুসারেই এই পানীয়র নামকরণ করা হয় শ্যাম্পেন। তবে চিকিৎসকরা রাজাকে এই পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিতেন সব সময়। পেটের নানান রকম রোগে ভুগছিলেন তিনি। যার জন্য শ্যাম্পেন ছিল খুবই ক্ষতিকর।

আরও পড়ুনঃ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গভীর মহাকাশে আলোর সবচেয়ে উজ্জ্বল ঝলকানি দেখে বিস্মিত

প্লেন চালিয়ে ৬ মাসে ৫২ দেশ ভ্রমণ

Previous article

পরিবারের সবচেয়ে কাছের কেউ মারা গেলে কাটতে হয় আঙুল

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *