শিক্ষা

ছুটি বাড়তে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের

0
shkh

চলতি বছরের শুরুতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে আপাতত ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগের মতো এবারও ধাপে ধাপে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়তে পারে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকার করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতি উন্নতি না হলে আগের মতো এবারও পর্যায়ক্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়বে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নির্ধারণ করা হবে ছুটি। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে।

এ বিষয়ে রবিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সরকার শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে চাইলেও সব কিছু করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির উপনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় রয়েছে। সে সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এরই মধ্যে আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা-পর্যালোচনা করে স্কুল খোলা না বন্ধ, বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।

দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় স্কুল-কলেজ। পরে খুলে দেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ও। এরপর ফের সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির এ বছর ২১ জানুয়ারি সব ধরনের স্কুল-কলেজ বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত শনিবার রাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়ে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সংক্রমণ বেড়েই যাচ্ছে। এখনো এ সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখি। একইসঙ্গে দেশে মৃত্যুর সংখ্যাটাও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা আমাদের জানিয়েছেন, এ ঊর্ধ্বগতিটা আরও কিছুদিন থাকবে। তাদের পক্ষ থেকে আরও দুই সপ্তাহ এ ঊর্ধ্বগতি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন সরকার এ গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। করোনা পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে পাঠদান কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেবো।

এখনো অনেক শিক্ষার্থী টিকা কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিকের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী টিকার আওতায় রয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়েরও অনেক শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২৫ লাখ শিক্ষার্থী এখনো এ কার্যক্রমের বাইরে। এসব শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা একটি টিকা সপ্তাহ করার কথা ভাবছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেটির কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও টিকা কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক বিদ্যালয়) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত স্কুল-কলেজ খোলা সম্ভব হবে না। বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে আমরা অনলাইন ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হচ্ছে। ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট শুরু করতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

ভ্রাম্যমান মানুষদের জনসনের টিকা দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে:- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Previous article

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা পেলেন ৩০০ কোটি টাকা

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *