উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা জৈব সার কারখানা গড়ে সফল কৃষি উদ্যোক্তা সাইফুল By রিপোর্টার September 21, 20221 ShareTweet 1 দাগনভূঞা উপজেলার একজন আদর্শ কৃষি উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম শাহেদ। ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বাতশিরি গ্রামে ২০০৯ সালে তিনি গড়ে তুলেছেন একটি জৈব সার কারখানা। পরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি থেকে ২০১৬ সালে নিবন্ধন পান। সাইফুল জানান, ২০২১ সালে গোবর, মুরগির বিষ্ঠা/লিটার, ব্যবহৃত চা-পাতা ও ট্রাইকোডার্মা ব্যবহারের মাধ্যমে জৈব সার উৎপাদান করেন প্রায় ২১০ টন। প্রতি কেজি জৈব সার পাইকারিতে ১০ টাকা করে বিক্রি করেছেন। ২০২১ সালে মোট ২১ লাখ টাকার জৈব সার বিক্রি করেছেন। এছাড়া ও তিনি তার উৎপাদিত জৈব সার ব্যবহারের মাধ্যমে প্রায়৫০ শতাংশ জমিতে সবজি বাগান (টমেটো, লাউ, কুমড়া, বেগুন ও লেটুস) এবং প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে ফল বাগান (লেবু, আম) চাষ করেছেন। আরও পড়ুনঃ ড্রাগন ফল চাষে ভাগ্য ঘুরলো রাকিব হোসেনের সাইফুল জানান, বছরে সবজি ও ফল বাগান হতে আয় করেন প্রায় ৮০ হাজার টাকা। ট্রাইকোডার্মা মিশ্রিত কম্পোস্ট থেকে নিয়মিত জৈব সার উৎপাদন ও সরবরাহ করছেন। এ সার এখন ফেনী, নোয়াখালী, পার্বত্য চট্টগ্রাম, শেরপুর, জামালপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে, রয়েছে ভালো চাহিদা। উদ্যোক্তা সাইফুল বলেন, জৈব সার প্রতি শতকে সবজির জন্যে ৫ কেজি, পেঁয়াজ আলু, ধান, গম, পাটসহ অন্যান্য ফসলের জন্য ৩ থেকে ৪ কেজি, মাছে বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৬০ কেজি, ফল গাছে ৫ থেকে ৭ কেজি করে ব্যবহার করলেই ভালো সুফল পাওয়া যায়। ২০০৯ সাল থেকে এর উৎপাদন ও ব্যবহার শুরু করি। ১৬০ শতক জায়গার মধ্যে আমার জৈব সার (এমআরসি) উৎপাদন খামার রয়েছে। উল্লেখ্য, উদ্যোক্তা হিসেবে সাইফুল ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয়কৃষি পুরস্কার’ এর জন্য উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে মনোনীত হয়েছন।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231560 views