উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তাশীর্ষ সংবাদ

ড্রাগন ফল চাষে ভাগ্য ঘুরলো রাকিব হোসেনের

2
ড্রাগন ফল

কৃষিকাজের প্রতি ছোটবেলা থেকেই ছিলো প্রবল ইচ্ছা। বেকার জবীনের সমাপ্তি ঘটিয়ে ইউটিউবে ড্রাগন ফল চাষের ভিডিও দেখে শুরু করেন ড্রাগন ফল চাষ। ফলাফল আসে দ্রুত। নিজের উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পটা বলছিলেন রাকিব হোসেন।

রাকিব শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের তিলই দিঘীরপাড় এলাকার মো. আলী আকবর সরদারের ছেলে। তিনি বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তারা তিন ভাই দুই বোন। পরিবারে সবার ছোট রাকিব।

উদ্যোক্তা হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকে কৃষিকাজেও প্রতি প্রবল ইচ্ছা ছিল। তাই বাড়ির আশপাশে বিভিন্ন ফলের গাছ রোপণ করি। করোনার সময় ঘরে বসে ছিলাম। এ সময় ইউটিউবে ড্রাগন ফল চাষের ভিডিও দেখি। ড্রাগন চাষে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফলাফল পাওয়া যায়। আবার ঝুঁকিও কম। আমি উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করি। তারা আমাকে পরামর্শ দেয়। আমি সেই পরামর্শ অনুযায়ী কাজ শুরু করি।

আরও পড়ুন : গাইবান্ধার প্রত্যন্ত গ্রামে ব্রডব্যান্ড সেবা দিচ্ছেন উদ্যোক্তা পিতা-পুত্র

তিনি বলেন, প্রথম যখন কাজ শুরু করি, তখন কেউ আমার পাশে ছিল না। সবাই বিরোধীতা করেছে। নিজের মনের জোরে এখনও কাজ করে যাচ্ছি। তবে সফলতা পেয়েছি। আমার বাগানে উন্নতজাতের কলা, আম, লেবু, পেয়ারাসহ বেশ কিছু ফলের গাছ রয়েছে। জায়গা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আরও বড় করে বাগান করার জন্য। সবচেয়ে ভালো লাগে, আমার বাগানের ফল বাগান থেকেই বিক্রি হয়ে যায়। বাজারে নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। বাগানে লাল, হলুদ ও সাদা জাতের ড্রাগন ফল রয়েছে। এর মধ্যে লাল ড্রাগন বেশি রয়েছে। বাগানে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করি না, শুধু কেঁচো সার ব্যবহার করি। এতে মাটির উৎপাদন শক্তি বজায় থাকে। প্রাকৃতিকভাবে সুস্বাদু ফল পাওয়া যায়।

রাকিব জানান, প্রতিটি গাছে ১০-১৫ কেজি ফল হয়। যার বাজার মূল্য প্রতি কেজি দুই থেকে তিনশত টাকা। বর্তমানে তার বাগানে ৬০-৭০ হাজার টাকার ফল রয়েছে।

ঝালকাঠিতে আয়োজিত হচ্ছে এবারের ‘ইত্যাদি’

Previous article

আজ বিদ্যুৎ যাবে না ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায়

Next article

You may also like

2 Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *