উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা

তন্বী এখন মাসে বেতন দেন ২৬ লাখ টাকা!

0
বেতন দেন ২৬ লাখ টাকা

১০ বছর আগে ছিলেন একটি কোম্পানির বিক্রয়কর্মী। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠানে দুই শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান আর প্রতি মাসে কর্মীর বেতন দেন ২৬ লাখ টাকা!

যশোরের খাদিজা ইসলাম, পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের কাছে অবশ্য তিনি তন্বী নামেই বেশি পরিচিত।

চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হওয়া খাদিজার জীবনের শুরুটা মোটেই স্বস্তির ছিল না। ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’ এমন এক পরিবারে জন্ম তাঁর। অভাবের কারণে মাধ্যমিক পরীক্ষার আগেই তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর আর্থিক অবস্থাও খুব একটা ভালো ছিল না। তাই জীবনসংগ্রামে নামা ছাড়া খাদিজার আর কোনো উপায় ছিল না।

শুরুতে স্থানীয় একটি কোম্পানিতে বিক্রয়কর্মীর চাকরি নেন। কিন্তু সেই চাকরিতে খুব বেশি দিন থাকা হলো না তাঁর। প্রত্যাশিত পদোন্নতি না পেয়ে বিক্রয়কর্মীর চাকরি ছেড়ে নিজে কিছু করার উদ্যোগ নেন।

২০১৪ সালে যশোরে অনুষ্ঠিত হয় কৃষি মেলায় এসিআই কোম্পানির প্যাভিলিয়নে গিয়ে ব্যবসার নতুন এক ধারণা পান খাদিজা। এসিআইয়ের এক কর্মকর্তা মশার কয়েল তৈরির কাঁচামাল নারিকেলের মালার গুঁড়া (কোকোনাট পাউডার) তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দেন খাদিজাকে।

পাশাপাশি তিনি যদি নারিকেলের গুঁড়া তৈরি করেন, তা কেনারও প্রতিশ্রুতি দেন ওই কর্মকর্তা। এরপর স্থানীয় বিভিন্ন কারখানা ঘুরে নারিকেলের মালার গুঁড়া কিনতে শুরু করেন খাদিজা। সেই গুঁড়া তিনি এসিআইয়ে সরবরাহ শুরু করেন।

এরপর নিজেই বাগেরহাটে নারিকেলের একটি কারখানা স্থাপন করেন। ব্যবসা ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। দুই বছর পর যশোর শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় আরেকটি কারখানা স্থাপন করেন। এরপর থেকে তাঁকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

খাদিজা ইসলাম বলেন, ‘আমার ব্যবসার শুরুটা একদমই মসৃণ ছিল না। শুরুতে কাউকে পাশে পাইনি। ব্যবসা করব এটা পরিবারের কেউ পছন্দ করেননি। এমনকি স্বামীও প্রথম দিকে কোনো সহযোগিতা করেননি। ব্যাংকে ব্যাংকে ঘুরেও কোনো ঋণ মেলেনি। পরে অবশ্য আইডিএলসি ফাইন্যান্স তাঁকে ঋণ দেয়।’

বর্তমানে বাগেরহাট ও খুলনায় আরও দুটি কারখানা স্থাপন করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে খাদিজার কারখানার সংখ্যা এখন ৪।

দেশের নামীদামি ৩২টি কোম্পানিতে এখন মশার কয়েল তৈরির কাঁচামাল সরবরাহ করছে তা প্রতিষ্ঠান। মাসে ব্যবসা গড়ে দুই কোটি টাকার।

আরও পড়ুন: দেশীয় পণ্যের বিশাল সমারোহ গড়তে চান সিন্ধু

এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১২ লাখ পরীক্ষার্থী

Previous article

জানুয়ারির প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে : শিক্ষামন্ত্রী

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *