উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করতে চান অর্পিতা নন্দী By নিজস্ব প্রতিবেদক February 12, 20220 ShareTweet 0 উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, কথা হলো উদ্যোক্তা অর্পিতা নন্দীর সঙ্গে। আজ শুনবো তার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প। আমি অর্পিতা নন্দী। আমার জন্ম বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। এই চট্টগ্রাম শহরেই আমার বেড়ে ওঠা। স্কুল, কলেজ, ইউনির্ভাসিটি শেষ করে বর্তমানে চাকরি করছি একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। তার সাথে নিজের স্বপ্নের যাত্রায় একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। নিজে কিছু করার আগ্রহ, আমার যখন থেকে বোধবুদ্ধি হয়েছে তখন থেকেই। কিন্তু পড়াশোনার জন্য সময় করে উঠতে পারতাম না। তবে যখনই সময় পেতাম নিজে কিছু না কিছু ডিজাইন করতাম শখ করে। আর আমার এই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সবসময় অনুপ্রেরনা যুগিয়েছেন আমার মা, বোন, বন্ধুরা এবং আত্নীয় স্বজন। শুধু তাই নয় আমার বোন আমার এই পথচলার সঙ্গী। আর আমাদের এই স্বপ্নের নাম Yubhashana। আমরা কাজ করছি দেশী-বিদেশী শাড়ি, জামাকাপড় ও কুর্তি নিয়ে। আমরা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের কাস্টমারকে সেরা টা দিতে। যেহেতু আমরা পোশাক নিয়ে কাজ করছি, তাই পণ্য স্টকে আনার আগেই খেয়াল রাখি পণ্যটা যাতে কোয়ালিটি সম্পন্ন হয়। যতক্ষণ আমরা কোয়ালিটি নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারি না ততক্ষণ পণ্য আমাদের পণ্য কাস্টমার অবধি পৌঁছায় না। আমাদের এই যাত্রার শুরুটা হয়েছিল ২০২০ সালের আগস্ট মাসে। আমাদের ইচ্ছে ছিল ফ্যাশন জগতে পদচারন করার, কিন্তু আমাদের তেমন কোনো আইডিয়া ছিল না কিভাবে প্রোডাক্ট সোর্সিং করবো।শুধুমাত্র মনের আর ইচ্ছের জোরে সাহস করে এই পথে পা বাড়াই। এর মধ্যে অনেক রকম চ্যালেঞ্জ এর মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাদের। শুরুতে মূলধন ছিল বিশ হাজার টাকা, তাও সেটা আমাদের টাকা না। আমাদের ইচ্ছে দেখে সাহায্য করেছিল আমাদের মা আর আমার বোনের স্বামী। একজন উদ্যোক্তা হতে হলে আত্নবিশ্বাসী, দূরদর্শীসম্পন্ন আর তার সাথে অনেক মনোবলের অধিকারী হতে হবে। আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মী আমরা নিজেরাই। আমি আর আমার বোন। আমাদের দেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা শেষে চাকরি খুঁজতে ব্যস্ত থাকে, তার ব্যতিক্রম আমিও না। আমি নিজেও পড়াশোনা শেষে চাকরিতে যোগদান করি। কিন্তু নিজের ইচ্ছেকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার মধ্যে যে আত্মতৃপ্তি, তা কখনো পরের অধীনে চাকরি করার মধ্যে পাওয়া যায় না। আমাদের প্রতিষ্ঠানটি মূলত অনলাইন ভিত্তিক। যেখানে দেশীয় কুর্তি আর তার সাথে ইন্ডিয়ান শাড়ি এবং জামা রয়েছে। বর্তমান যুগে আমরা সবাই ফ্যাশন সচেতন। আমরা মেয়েরা সবাই চাই নিজেদের নতুন রূপে সাজাতে। আর আপনাদের নতুনত্বকে আলিঙ্গন করার এই ইচ্ছেকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের কাজ করা। বর্তমানে নারীরা সবদিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাহলে উদ্যোক্তা জীবনেও এর ব্যতিক্রম কিছু নয়। আমাদের দেশে বর্তমানে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন নতুন প্লাটর্ফম তৈরি হচ্ছে যেখানে নারীরা অনায়সে তাদের প্রতিভাগুলো বিকশিত করার সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের যে নিজে কিছু করার আগ্রহ সেটা নিয়ে স্বপ্ন দেখতে পারছেন। আমাদের সেল শুরু হয়েছিল একটা পণ্য বিক্রি করা দিয়ে, যার থেকে এখন সেটা দাঁড়িয়েছে হাজারে, আর এটা সম্পূর্ণ সম্ভব হয়েছে আপনাদের সার্পোটের কারণে। আপনারা পাশে ছিলেন বলে আমরা এতোটুকু আসতে পেরেছি। আমাদের সবথেকে বড় অর্জন হলো আপনাদের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসায় সিক্ত সুন্দর রিভিউগুলো। ভবিষ্যতে আপনাদের পাশে রেখে আমরা আগামীর পথ পাড়ি দিতে চাই। আমাদের খুব ইচ্ছে আমাদের এই স্বপ্নকে একটা ব্র্যান্ডে পরিণত করার। নিজেদের পণ্যের শোরুম শুধু দেশের বিভিন্ন জায়গায় নয় বরং বিদেশেও পাড়ি জমানোর স্বপ্নে বিভোর আমরা। আর এটা সম্ভব হবে আপনাদের সার্পোট আর ভালোবাসায়। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই স্বপ্নটাই পূরণ করতে চাই। আর আমার এই যাত্রায় শুরু থেকে যে পরিবারকে পাশে পেলাম সেটি হলো আমাদের YEESBD পরিবার। শুরু থেকে এখন অবধি সবসময় আমি এই পরিবারকে পাশে পেয়েছি। আমি অনেক গর্বিত যে, আমি এই পরিবারের একজন সদস্য।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231562 views