জাতীয়শীর্ষ সংবাদ

দেশ ও জনগণের কথা ভাবতে ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

2
pm 2

ব্যবসায়ীদের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাদের দেশ ও মানুষের কথা ভাবতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ব্যবসায়ীরা, সে যে দলেরই হোক না কেনো, যাতে ব্যবসাটা ‘ব্যবসায়ী’ হিসেবে করতে পারে সেই পরিবেশটা আমি সৃষ্টি করে দিয়েছি।

আজ গণভবনে ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এখানে কোনো হাওয়া ভবনও নেই, আর পিএমওতে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে) কোনো উন্নয়ন উইংও নেই। হাওয়া ভবনে এক ভাগ দিতে হবে, উন্নয়ন ভবনে এক ভাগ দিতে হবে বা অমুক জায়গায় দিতে হবে- এই যন্ত্রণায় আপনাদের ভুগতে হয় না এখন। এটা তো আপনারা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন, সেই যন্ত্রণা থেকে সবাই মুক্ত আছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ১৪ বছর একটানা ধারাবাহিকভাবে আপনারা লাভজনক ব্যবসা করে গেছেন। আমরা কিন্তু করোনার সময়ও মোকাবিলা করলাম। প্রণোদনা দিলাম, বিশেষ প্রণোদনা। আমার কাছে কেউ এসে দাবি করেনি, কেউ বলেনি। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার একটা টিম খুব ভালো কাজ করছিলো- যে কোথায় কী করা যেতে পারে। অর্থনীতির চাকাটা চলমান রাখতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ, তাদের সমস্ত কর্মকাণ্ড বন্ধ, সবকিছু। আমরা বলেছি, এখানে বন্ধ হতে দেবো না। এখানে চালু রাখতে হবে। শ্রমিকদের বেতন, এই যে গার্মেন্টস, তার বেতন তো আমি দিয়ে দিলাম সব। প্রণোদনা প্যাকেজ করলাম, বিশেষ বরাদ্দ দেয়ার ব্যবস্থা করলাম।

আরও পড়ুনঃ কোন ফেসবুক আইডি নেই প্রধানমন্ত্রীর

গণভবনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রমুখ।

এছাড়া এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ শীর্ষ কয়েকজন ব্যবসায়ী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

দেশীয় পণ্যের বিশাল সমারোহ গড়তে চান সিন্ধু

Previous article

ত্বকের যত্নে সুফল পেতে ব্যবহার করুন সবুজ টম্যাটো

Next article

You may also like