শিক্ষা

নতুন শিক্ষাক্রম হবে আনন্দময়:- শিক্ষামন্ত্রী

0
image 30289 1644676404

শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে পঠন-পাঠন শিশু-কিশোরদের জন্য আনন্দময় করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২: আজ রাজধানীতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) আবদুল জব্বার মিলনায়তনে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১- পরিচিতি বিষয়ক এক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য সবার ক্ষেত্রে সুযোগ তৈরি করা, সেটি হয়ত আগে সেভাবে ছিল না। বৈশ্বিক যে আকাক্সক্ষা আছে তা যেন পূরণ হয় সে লক্ষ্য আমাদের রয়েছে। আমরা যেন সঠিক জায়গাতে পৌছাতে চায়। সেজন্য বিশেষজ্ঞরা আমাদের পথ দেখাচ্ছেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিশু-কিশোরদের জন্য পঠন-পাঠন পুরো বিষয়টাকেই আনন্দময় করতে চাই। শিক্ষা হবে আনন্দময় পরিবেশে। যাতে পরীক্ষার চাপ যেন না থাকে। একটি আনন্দময় পরিবেশে তারা শিখবে। যে শিক্ষাটি তারা জীবনে কাজে লাগাতে পারবে। এজন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বক্তারা বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হলো শিক্ষায়। এছাড়া বিভিন্ন দেশে শিক্ষকদের মর্যাদা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে তাদের মর্যাদার জায়গাটা নিশ্চিত করতে হবে।

এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো.মশিউজ্জামান এর সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষাবিদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও সাংবাদিক আবুল মোমেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ও লেখক জাফর ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লাফিফা জামান, এনসিটিবি’র সদস্য ফয়জুল ইসলাম। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এর আয়োজন করে।

পরে ভার্চুয়ালি আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, চারুকলা ইন্সস্টিটিউটের  নিসারুল হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীদের মুখস্ত চর্চা থেকে মেধা চর্চায় মনোনিবেশ করতে হবে। জনসংখ্যা অনুযায়ী স্কিল বেইজ শিক্ষা প্রয়োজন। শুধু কারিকুলাম পরিবর্তন করলে হবে না সেটি বাস্তবায়নে সক্ষমতা তৈরি করতে হবে।

অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, আমাদের এখনকার শিশুরা আমাদের মত শৈশব, কৈশোর পায়নি। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার কারণে শিশুদের শৈশবে কোন আনন্দ নেই। অভিভাবকরা শিশুদের কোচিং এ পাঠাতে ব্যস্ত। তিনি বলেন, আমি সব সময় বলি মুখস্ত না করার জন্য। কিন্তু আমরা দেখি বাচ্চা কোচিং, গাইড বই, পাঠ্যবই মুখস্ত করছে।

এখন পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলে বাবা-মা, শিক্ষকরা বাচ্চাদের গালমন্দ করে। এরফলে অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। এটা খুবই খারাপ বিষয় ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের মধ্যে একটা সংযুক্তি থাকতে হবে। প্রাথমিক শেষ করে শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিকে গিয়ে যেন হঠাৎ করে দিশেহারা না হয়ে পড়ে। সুতরাং শিক্ষা ব্যবস্থাটাকে এগিয়ে নিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি বলেন,শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন অনেক বেশি হওয়া দরকার। তাহলে মেধাবীরা এখানে আসতে আগ্রহী হতে হবে।

উল্লেখ্য,নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে শিক্ষা ব্যবস্থাতেও পরিপূরক পরিবর্তন আনা দরকার। এই লক্ষ্যেই শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিমুক্ত, নিরাপদ এবং সুরক্ষিত জীবন ও  জীবিকার উপযোগী করে গড়ে তোলার দিকনির্দেশনা দিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম  রূপরেখা ২০২১ সাজানো হয়েছে।

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ আগামীকাল

Previous article

বিএনপি চাই আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন : হানিফ

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *