উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা নিজেই নিজেকে উৎসাহ জোগান শাহিনা সুলতানা ছন্দা By নিজস্ব প্রতিবেদক October 3, 20221 ShareTweet 1 উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, কথা হলো উদ্যোক্তা শাহিনা সুলতানা ছন্দার সঙ্গে। আজ শুনবো তার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প। আমি শাহিনা সুলতানা ছন্দা। নরসিংদী জেলার মাধবদীতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা।। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে হেরে যাওয়ার পর যখন সবাই বারবার বলছিলো, আমারতো কোনো যোগ্যতাই নাই কিছু করার। এই কথা শুনতে শুনতে একটা সময় শোনা বন্ধ করে দিই আর ভাবি কিছু করতেই হবে। তো আমিই আমাকে উৎসাহ দিয়ে আজকের অবস্থানে অবস্থান করছি। আমি অনলাইনের মাধ্যমে হোমমেইড নকশীপিঠাসহ বিভিন্ন পিঠা, আচার ও হোমমেইড সবরকম খাবার নিয়ে কাজ করছি। আমার পেইজ এর নাম “ছন্দার পণ্য”। কিভাবে শুরু করবো সেটা ভেবে কোনো কূল পাচ্ছিলামনা। তারপর আল্লাহর উপর ভরসা করে, বাসায় বানানো খাবারের ছবি পেইজে পোস্ট করেই শুরু করলাম আমার উদ্যোগ। যেখানে তেমন কোনো মূলধন ছিলোনা বললেই চলে। কেননা, আমার মনে হলো আল্লাহর উপর ভরসা করে, নিজের উপর বিশ্বাস রেখে, সাহসের সাথে শুরু করতে হবে এবং সেই সাথে এগিয়ে যেতে হবে। কর্মী নেয়ার অবস্থান এখনো তৈরী করতে পারিনি বলে আমি আমার সমস্ত কাজ একাই করে থাকি। আমাদের দেশে বর্তমানে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অগনিত। আমারতো মনে হয় চাকরির অপেক্ষায় বসে না থেকে, নিজেই উদ্যোগ গ্রহণ করে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করে অন্যের কর্মসংস্থানের সুব্যবস্থা করা। যেমনটা আমি করেছি, নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার দৃঢ় প্রত্যয়ে আমিই আমাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি আমার প্রতিষ্ঠান দ্বারা। বিশেষ করে বর্তমানে অনলাইনের সুবাদে আমি বলবো, আমাদের নারীদের এখন আত্মকর্মসংস্থানের বেশ সুযোগ রয়েছে। নিজ ঘরে অবস্থান করে স্বামী, সন্তানকে পাশে রেখে বাসায় বসেই বিজনেস করাটা বেশ সহজ হয়েছে। আগেই বলেছি আমাকে কেবল আমিই সাপোর্ট করে এতোটা পথ এগিয়ে নিয়ে এসেছি। আর প্রতিবন্ধকতার কথা বলে শেষ করা যাবেনা। সেটা নিয়ে বিস্তারিত বলবো অন্য কোনো এক সময়। আরও পড়ুন: সাবলম্বী হওয়ার চিন্তা থেকেই উদ্যোক্তা হন তাসলিমা সিকদার শান্তা সেল বর্তমানে মোটামুটি ভালো, যেহেতু খানিকটা পরিচিত করতে পেরেছি নিজেকে। ক্রেতা সন্তুষ্ট হয়ে একাধিকবার অর্ডার করে পুনরায় আমার পণ্য নিয়েছে বহু মানুষ। যাকে বলে রিপিট ক্রেতা। আলহামদুলিল্লাহ সম্প্রতি আমি ‘স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা ২০২২’ এর সম্মাননা পেয়েছি। যেটা আমাকে আরো বেশি উৎসাহিত করেছে, অনেকের কাছে করেছে সম্মানিত। আমার সাথে সাথে আমার প্রতিষ্ঠানের অর্জন হলো, আমাকেসহ আমার প্রতিষ্ঠানকে এখন অনেকেই চেনেন, জানেন। যেখানে নির্ভেজাল, স্বাস্থ্যসম্মত খাবারই প্রস্তুত হয়ে থাকে। আমার স্বপ্ন আগামী ৫ বছরের মধ্যেই আমি সুপারশপ আকারে আমার প্রতিষ্ঠানকে দাড় করাতে চাই, যেখানে বাহারী পণ্য থাকবে, থাকবে অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। পাশাপাশি দেশের বাইরে আমার পণ্য ছড়িয়ে দিতে চাই, যার মাধ্যমে আমার পণ্য ও দেশকে বাইরের দেশে সুপরিচিত করাতে পারবো।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231562 views