উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা নিজেকে একজন সুপ্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চান জেসমিন জাহান By নিজস্ব প্রতিবেদক June 5, 20232 ShareTweet 2 উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, কথা হলো উদ্যোক্তা জেসমিন জাহানের সঙ্গে। আজ শুনবো তার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প। আমি জেসমিন জাহান। আমার জন্ম, বেড়ে উঠা সবই পাবনা শহরে। জীবনের নানা সময়ের নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে ইচ্ছা হলো কিছু একটা করতে, পাবনার মেয়ে বিধায় পাবনার পণ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করলাম। যাত্রা শুরু হলো ‘লিপির রান্নাঘর’ এর। এটি একটি হোমমেইড ফুড পেইজ। এখানে সকল ধরনের হোমমেইড ফ্রোজেন খাবার, তেল, ঘী, মধু, সিজনাল ফল ইত্যাদি পাওয়া যায়। আমার শুরুটা ছিলো মূলত করোনার মধ্যে পাবনার খাটি গাওয়া ঘী দিয়ে। যখন পুরো পৃথিবী স্তব্ধ তখন আমি চিন্তা করলাম সকলের জন্য এবং নিজের জন্য কিছু করার। শুরু করলাম হোমমেইড ফুড নিয়ে কাজ করা। মূলধন ছিলো মাত্র ৬ হাজার টাকা। তারপর এভাবেই ধীরে ধীরে আমার যাত্রা শুরু হলো। আমার মতে একজন উদ্যোক্তা হতে সততা, নিষ্ঠা, ইচ্ছাশক্তি এবং কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন। বর্তমানে আমার কর্মসংস্থানের সাথে যুক্ত আছে দুইজন কর্মী। যেখানে সবাই ব্যস্ত কর্পোরেট জব নিয়ে, আমি হলাম একটু ভিন্ন। ছোট থেকে বড় হওয়া পড়াশোনা নিয়ে, এরপর বিয়ে এবং পারিবারিক ব্যস্ততা সবকিছুর মাঝে নিজের জন্য কিছু করার সুযোগ যেনো কখনো হয়ে উঠে নি। কিন্তু বর্তমানে সবকিছু অনেকটা স্থবির হওয়ায় আমি গ্রহণ করলাম উদ্যোক্তা জীবন। আমার প্রচেষ্টা ভালো পণ্য নিয়ে কাজ করা। আমার লক্ষ্য বর্তমান এই ভেজালের ভিড়ে খাঁটি পণ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়া, সেই লক্ষ্যেই যেনো আমি নিরন্তর কাজ করে চলেছি। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে নারী উদ্যোক্তদের সম্মুখীন হতে হয় নানা প্রতিবন্ধকতার। তবে ঘরে এবং বাহিরে একই সাথে কাজ করে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমান বিশ্বে। আমার উদ্যোক্তা জীবন যেনো এরই প্রতিফলন। আরও পড়ুনঃ দেশিয় পণ্যের দ্বারা সমাদৃত হতে চান রনি আক্তার আমাদের সেল আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো। শুরুতে আমি আমার আশানুরূপ সেল করতে না পারলেও বর্তমানে সেল টার্গেট অনুযায়ী সম্পন্ন হচ্ছে। আমার পণ্যে এবং সার্ভিসে কাস্টমার অনেক সন্তুষ্ট। এজন্য আমার রিপিট কাস্টমারের সংখ্যাও অনেক। আমি আমার উদ্যোক্তা জীবনে এখনো কোনো সরকারি বেসরকরি সহযোগিতা পাই নাই। তবে আমি অনেক কিছু অর্জন করেছি। আমার পণ্যে সবাই সন্তুষ্ট এটিই আমার মূল অর্জন। সবাই ‘লিপির রান্নাঘর’ চিনবে জানবে, আমার রান্না দেশ ছেড়ে বিদেশে যেতে পারবে এটিই আমার আশা। পাঁচ বছর পর নিজের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করতে চাই সুপ্রতিষ্ঠিত উদ্যোক্তা হিসাবে। ‘লিপির রান্নাঘর’ এর সমৃদ্ধ খাবার সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়বে ইনশাআল্লাহ।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231565 views