ব্যবসা-বাণিজ্যশীর্ষ সংবাদ

নিত্যপণ্যের দাম কমার লক্ষণ নেই

3
নিত্যপণ্যের দাম কমার লক্ষণ নেই

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে বৈশ্বিক পণ্যবাজারে দাম বাড়তে থাকে।মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ে দেশের বাজারেও। এতে কয়েক দফা বাড়ে নিত্যপণ্যের দাম। তবে এই দাম কমার লক্ষণ নেই।

বর্তমানে মোটা চাল (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়। মাঝারি মানের চালের দাম প্রতি কেজি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। সরু চাল মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৮৫ টাকা পর্যন্ত। সরু চালের মধ্যে মিনিকেট ও নাজিরশাইলের বিক্রি বেশি।

চালের মতো আটার দামও উচ্চ মূল্যে এসে থেমে আছে। বিশ্ববাজারে গমের দাম কমে এলেও দেশের বাজারে আটার দাম এখনো বাড়তি। খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৩ থেকে ৫৫ টাকায়। প্যাকেটজাত ২ কেজির আটার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২৫ টাকায়। ২ কেজির প্যাকেটজাত এই আটার দাম এ বছরের শুরুতেও ৮০ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে ছিল।

গতকাল যে তিনটি বাজার ঘুরে দেখা হয়েছে, তার কোনোটিতে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে চিনি বিক্রি হতে দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করেছে প্রতি কেজি ৮৪ টাকা। অথচ পাইকারি বাজারে গতকালও খোলা চিনি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৮৭ টাকার আশপাশে। অন্যান্য খরচ বাদে ন্যূনতম লাভে বিক্রি করলেও ৮৮ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব নয়।

আরও পড়ুনঃ “নির্বাচনের সময় আমার জন্য আপনাদের দরজাটা খোলা রাখবেন”

এদিকে গতকাল ঢাকার বাজারে সবজির দাম একটু বাড়তি দেখা গেছে। মান ভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৭০ থেকে ৯০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট একটি বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। শিম ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। শীতের আগাম এসব সবজির মধ্যে বাজারে আরও পাওয়া যাচ্ছে মুলা। প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।

এদিকে বাজারে ফার্মের মুরগির ডিম ও মাংসের দামও চড়া। প্রতি ডজন ফার্মের বাদামি রঙের ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। তবে সোনালি মুরগির দাম কিছুটা কমে প্রতি কেজি ৩২০ টাকা থেকে নেমে এসেছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। এখন সেই বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে।

তবে অক্টোবরের পরে মূল্যস্ফীতি একটু কমে আসবে বলে আশা করা যায়। এ সময়ে নতুন ধান ওঠে; আবার শীতের সবজিও বাজারে আসতে শুরু করে। তবে সামগ্রিকভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিযোগিতা কমিশনের পদক্ষেপগুলো এগিয়ে নিতে হবে। ব্যবসার জন্য সরকার উৎসাহ দেবে ঠিকই, তবে সিদ্ধান্ত হতে হবে ভোক্তাবান্ধব।

দারুণ জয়ে এশিয়া কাপ শুরু বাঘিনীদের

Previous article

সিনেমা দেখেই মালদ্বীপ ভ্রমণের সুযোগ

Next article

You may also like

3 Comments

  1. […] আরও পড়ুনঃ নিত্যপণ্যের দাম কমার লক্ষণ নেই […]

  2. […] আরও পড়ুনঃ নিত্যপণ্যের দাম কমার লক্ষণ নেই […]

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *