বিনোদন

নেটিজেনদের রোষানলে দীপিকা

0
dpka2

দীপিকা পাডুকোনের ডাগর চোখে ঘায়েল হয়নি এমন পুরুষ পাওয়া দায়। ১৫ বছর ধরে বলিউডে রাজত্ব করছেন এই সুন্দরী। সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়েও সাফল্যের চাপ ছেড়েছেন এই নায়িকা। কিন্তু, এবার নিজের একটি মন্তব্যের জন্য নেটিজেনদের রোষে পড়লেন তিনি।

আমেরিকার একটি বিখ্যাত ফ্যাশন ম্যাগাজিনের কভার গার্ল হয়েছেন এ নায়িকা। এই আনন্দই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। আয়তকার চোখে নীল রং, চোখের পাতায় গাঢ় কালো মাসকারা, ওয়েট লুক-দীপিকার চাহনি ঘায়েল করার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু, তার ক্যাপশন দেখেই রে রে করে উঠলেন নেটিজেনরা। নিজের বর্ণের কথা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, তিনি বিশ্বের জনপ্রিয় বিউটি ম্যাগাজিনে নিজস্ব সুন্দরতা দিয়ে স্থান করে নিয়েছেন।

নিজের এই জার্নি থেকে তিনি শিক্ষা নিয়েছেন, উন্নতি করেছেন এবং এগিয়ে গিয়েছেন। নায়িকার সমস্ত কথার মধ্যে ‘পারসন অফ কালার’ কথাটি নিয়ে আপত্তি তুলেছেন নেটিজেনরা। এক টুইটার ব্যবহারকারী দীপিকার এই মন্তব্যে পাল্টা সরব হয়েছেন। তিনি বলেন, পার্সন অফ কালার শব্দের মধ্যদিয়ে অভিনেত্রী কি বোঝাতে চেয়েছেন? এই বর্ণের হওয়া মানে কি অপমানজনক? একজন টুইটার ব্যবহারকারী অবশ্য নায়িকার সমর্থনে পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, গায়ের রং নিয়ে যে শব্দ দীপিকা বেছে নিয়েছেন তা হয়তো ভুল হতে পারে। কিন্তু, তার উদ্দেশ্য খারাপ ছিল না।

তবে অধিকাংশ নেটিজেনই প্রশ্ন তুলেছেন, দীপিকা পাডুকোনের মতো সফল একজন অভিনেত্রী গায়ের রং প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আদতে বর্ণ বৈষম্যকেই উসকে দিয়েছেন। অনেকে নায়িকার এই মন্তব্য ‘লজ্জাজনক’ বলেও তোপ দেগেছেন। প্রসঙ্গত, বলিউড ছেড়ে হলিউডে পা রেখেছিলেন দীপিকা, প্রিয়াংকা। ‘দেশি গার্ল’ অবশ্য এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, হলিউডে তিনি নিজের গায়ের বাদামি বর্ণের জন্য কোনো সমস্যায় পড়েননি। তার ট্যালেন্ট সেখানেও দাপট দেখাচ্ছে। বাদামি গায়ের রং নিয়েই হলিউড কাঁপাচ্ছেন প্রিয়াংকা।

যদিও বিভিন্ন অভিনেত্রী একাধিক সময় বর্ণ বিদ্বেষ নিয়ে সরব হয়েছেন। হলিউডে সাদা চামড়ার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের প্রাধান্য দেয়া হয়, এই অনুযোগ আজকের নয়। দীপিকার এই মন্তব্য সেই বর্ণ বিদ্বেষকেই আদতে হাওয়া দিয়েছে বলে মনে করছে নেটপাড়ার বাসিন্দাদের একাংশ।

এবার ওয়েবে আফসানা মিমি

Previous article

পুষ্টি বাফুফের বেভারেজ স্পন্সর

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *