প্রাণিবৈচিত্র্যসারাদেশ

পটুয়াখালীতে আজব এক মহিষ শাবকের জন্ম

0
mhs

দুই বা পাঁচ পা নিয়ে গরু, মহিষ কিংবা ছাগলের বাচ্চা জন্ম নেয়ার ঘটনা অনেকেই শুনেছেন। তবে দুই মুখওয়ালা কোনো পশুর জন্ম নেয়ার ঘটনা বিরল। এবার এমনই এক ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চর বেষ্টনি গ্রামে। গতকাল রোববার বিকেলে ওই গ্রামের কাঞ্চন শিকদার (৬৫) নামের এক কৃষকের একটি মহিষ দুই মুখওয়ালা একটি শাবক প্রসব করে।

ঘটনাটি জানাজানি হলে শাবকটিকে দেখতে কৃষক কাঞ্চনের বাড়িতে ভিড় জমান উৎসুক জনতা। তবে রাত ১১টার দিকে মহিষের বাচ্চাটি মারা যায়।

দুই থেকে তিন বছর আগে একটি মহিষ কেনেন কাঞ্চন শিকদার। তার গোয়ালে বর্তমানে ৭টি মহিষ রয়েছে। এর মধ্যে একটি মহিষ গর্ভধারণ করে। রোববার বিকেলে মহিষটি বাচ্চা প্রসব করে। বাচ্চাটির পা, কান, চোখ এবং শরীর স্বাভাবিকই ছিলো। শুধু মুখ ছিলো দুটি এবং নাক ছিলো চারটি।

চর বেষ্টনি গ্রামের বাসিন্দা কবির মিয়া বলেন, শাবকটি দেখতে আমরা কাঞ্চন মিয়ার বাড়িতে যাই। শাবটি উঠে দাঁড়াতে পারছিলো না। তবে দেখে মনে হচ্ছিল প্রাণীটি ভালো ভাবেই শ্বাস প্রশ্বাস নিচ্ছিলো।

আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পদ্মা থেকে আটক ‘রাসেল ভাইপার’ সাপটি গড়াইয়ে অবমুক্ত

এছাড়া একই গ্রামের বাসিন্দা মকিমালি হাওলাদার জানান, আমার জীবনে দু’মুখো সাপের কথা শুনেছি। দুই পা বা পাঁচ পাওয়ালা পশুর বাচ্চা জন্ম নেওয়ার ঘটনা দেখেছি। তবে দুই মুখওয়ালা মহিষের বাচ্চা জন্ম নেওয়ার ঘটনা এই প্রথম দেখলাম।

এদিকে কৃষক কাঞ্চন শিকদার বলেন, আমি অনেক আগে থেকেই মহিষ লালন পালন করি। এভাবে দু’মুখো মহিষের বাচ্চা আমার বাড়িতে জন্ম নেবে এটা কখনো ভাবিনি। তবে মহিষের বাচ্চাটিকে বাচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষে আমরা ব্যর্থ হলাম।

চর মোন্তাজ ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন জানান, দুই মুখ ওয়ালা মহিষের বাচ্চা প্রসব এটা আসলেই একটি বিরল ঘটনা। ঘটনা শোনার পরে আমরা কাঞ্চন শিকদারের সঙ্গে কথা বলেছি এবং বাচ্চাটিকে চিকিৎসার জন্য পশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। তবে দুঃখজনক শাবকটি রাতেই মারা গেছে।

স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস আজ

Previous article

আগামী ১৫ই অক্টোবর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সাথে ওয়ার্কশপ করবে ‘অন দ্যা ওয়ে’

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *