স্বাস্থ্য

পশ্চিমাদের তুলনায় এশিয়া ও আফ্রিকায় মাইগ্রেনের হার কম

1
মাইগ্রেন

২০১৬ সালের গবেষণা জরিপ বলছে, পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় এশিয়া ও আফ্রিকায় সামান্য কম মাইগ্রেনের হার। তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে ৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ মাইগ্রেনে আক্রান্ত।

চিকিৎসকদের মতে অক্ষমতার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলোর একটি হলো মাইগ্রেন।

গবেষণা বলছে, মাইগ্রেনে ভুক্তভোগীদের প্রায় ৬ থেকে ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ১২ থেকে ১৪ শতাংশ নারী। নারীরা পুরুষের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি মাইগ্রেনে ভোগেন।

এমনকি নারীদের মধ্যে মাইগ্রেনের আজীবন প্রকোপ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। আর সাধারণত ৩৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে এর সর্বোচ্চ আক্রমণ দেখা দেয়।

মাইগ্রেন, সাধারণ স্নায়বিক ব্যাধি, যা ফলে মাথাব্যথা অনুভূত হয়। ফরাসি শব্দ ‘মেগ্রিম’ থেকে উদ্ভূত হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে লাতিন হেমিক্রেনিয়া বা ‘মাথার অর্ধেক ব্যথা’ থেকে উদ্ভূত হয়েছে এবং এটি হেমিগ্রেনিয়া এবং মাইগ্রেনিয়ায় রূপান্তরিত হয়েছে।
ইতিহাসে মাইগ্রেনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি প্রাথমিক বিবরণ ১৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে লেখা প্রাচীন মিসরের এবার্স প্যাপিরাসে পাওয়া যায়।

বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৫ শতাংশ বা আনুমানিক একশ কোটি মানুষ মাইগ্রেনে আক্রান্ত। এছাড়া ১ দশমিক ৪ থেকে ২ দশমিক ২ শতাংশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী মাইগ্রেন দেখা দেয়।

২০১০ সালের গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ স্টাডিতে এটি বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক প্রচলিত ব্যাধি হিসেবে স্থান পায়। প্রায়ই এই রোগ বয়ঃসন্ধিকালে শুরু হয় এবং মধ্য বয়সে সবচেয়ে খারাপ হয়।

আরও পড়ুন : ডেঙ্গু প্রতিরোধে ৫ পানীয়

আবারো পান চাষে ঝুঁকছেন কুষ্টিয়ার চাষিরা

Previous article

প্রথম ভোটারের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ভারতের নির্বাচন কমিশন

Next article

You may also like

1 Comment

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *