উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা প্রবাস থেকে ফিরে মালটা চাষ, সফল উদ্যোক্তা হানিফ By রিপোর্টার September 15, 20221 ShareTweet 1 চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামে বাড়ি হানিফ খানের। ১০ বছর ছিলেন প্রবাসে। দেশে ফিরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় মালটা চাষ করে হয়েছেন স্বাবলম্বী। পাঁচ বছর আগে তিনি ৪০ শতাংশ জমিতে বারি-১ ও বারি-৪ জাতের ১০০টি মালটার চারা রোপণ করেন। চলতি মৌসুমে তার বাগানের থোকা থোকা মালটা ঝুলছে। এ বছর দুই লক্ষাধিক টাকার মালটা বিক্রি হবে। তার সফলতা দেখে একই বাড়ির মনোয়ার আলীসহ সাত উদ্যোক্তা মালটার বাগান করেছেন। উদ্যোক্তা হানিফ খান বলেন, আমি সৌদি আরবে ১০ বছর থাকার পর দেশে ফিরে আসি। তখন আমি ভাবলাম কিছু একটা করব। পরে আমি ইউটিউব দেখে মালটা চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করি। ২০১৭ সালে মালটাগাছের চারা রোপণ করি। ২০১৮ সালে কিছু গাছে ফল আসে। ২০১৯ সালে মালটাগাছে প্রচুর পরিমাণে ফল ধরে। তখন ৫০ হাজার টাকার ফল বিক্রি করি। ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনবার মালটা বিক্রি করেছি। আমার প্রায় তিন লাখ টাকা আয় হয়েছে। আর কিছুদিন পর বাগানের ফল পাকা শুরু হবে। আরও পড়ুনঃ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে নবদ্বীপ মল্লিক সজনেপাতার গুঁড়ো মালটা বাগানের পরিচর্যা নিয়ে হানিফ বলেন, প্রতি মাসেই বাগানে প্রয়োজনীয় ওষুধ বা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। গাছের পরিচর্যা করতে হয়। আমি ভালোভাবে বাগানের যত্ন নিই। আমি আরও একটি বাগান তৈরি করার জন্য চেষ্টা করছি। আমার দেখাদেখি আরও চার-পাঁচজন মালটা বাগান করেছেন। তারাও লাভবান হচ্ছেন এখন। উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাকসুদুর রহমান জানান, অন্য ফসলের তুলনায় মালটা চাষে অধিক লাভবান হওয়া যায়। তাই মালটা উৎপাদনে কৃষকরা ঝুঁকছেন। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ, মালটা গাছে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়। ছত্রাক ও বিভিন্ন ধরনের পোকা আক্রমণ করে থাকে। সঠিকভাবে ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক ওষুধের ব্যবহার জানা বেশ জরুরি।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231562 views