আন্তর্জাতিক

ফ্রি ফল রাউড থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

0
orlando

যুক্তরাষ্ট্রের অর্ল্যান্ডো শহরের বিনোদন পার্কে বেড়াতে এসে প্রাণ গেল কিশোরের। মৃতের নাম টাইয়ার স্যাম্পসন। সে আদতে মিসৌরির বাসিন্দা। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত কিশোরের পরিবারের সদস্যরা। বেড়াতে বেড়িয়ে যে এমন ঘটনা ঘটে যাবে, তা তারা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সুবিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন কিশোরের বাবা।

অরল্যান্ডো ফ্রি ফল রাইড মার্কিনিদের মধ্যে এবং বিদেশ থেকে ঘুরতে আসা পর্যটকদের মধ্যেও অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটির উচ্চতা স্ট্যাচু অফ লিবার্টি’-র থেকেও বেশি! স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরের নাম টাইয়ার স্যাম্পসন। সে মূলত মিসৌরির বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুদের সঙ্গে ফ্লোরিডায় বেড়াতে আসে ওই কিশোর।

ওরেঞ্জ কাউন্টির শেরিফ জন মিনা জানিয়েছেন, স্রেফ আনন্দ করতেই বাকিদের মতোই অরল্যান্ডো ফ্রি ফল রাইডে চড়েছিল টাইয়ার। সেখান থেকে পড়ে যায় সে। তার জেরেই পরে তার মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যা ঘটেছে, তা নিছক কোনও দুর্ঘটনা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ফ্লোরিডার অরল্যান্ডো শহরের আইকন পার্কে গত বছরই এই নতুন রাইডটির উদ্বোধন করা হয়। দ্রুতই আমজনতার মধ্যে এই রাইড জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর তার মধ্যেই ঘটে গেল এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা। শেরিফ জানিয়েছেন, ওই কিশোরের সঙ্গে যা ঘটেছে, তা ভয়াবহ ও মর্মান্তিক। যদিও এর জন্য কেউ দায়ী হন, তবে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পরই দ্রুত টাইয়ারকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, চিকিৎসকদের কিছুই করার ছিল না।

এক প্রত্যক্ষদর্শী তার বয়ানে পুলিশকে জানিয়েছেন, রাইড শুরু হওয়ার আগে সকলকেই সেফটি বেল্ট দিয়ে তার আসনের সঙ্গে ভালো করে বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু, টাইয়ারের বেল্টে হয়তো কোনও সমস্যা ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল, প্রবল বেগে রাইডটি চালু হওয়ার পরই নিজের আসন থেকে হড়কে নীচে পড়ে যায় ওই কিশোর। অত উঁচু থেকে নীচে পড়লে যে কারওরই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

তিনি আরো জানিয়েছেন, ঘটনার সময় একটা ভয়ঙ্কর তীব্র শব্দ শুনেছিলেন। টাইয়ার যে তার আসন থেকে ধড়াম করে নীচে এসে পড়েছিল, এই শব্দ তারই ছিল বলে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তার দাবি, জীবনে কখনও এমন আওয়াজ শোনেননি! ঘটনাস্থলে উপস্থিত আর এক মহিলা জানিয়েছেন, টাইয়ার উপর থেকে নীচে উপুড় হয়ে পড়েছিল। সে কোনও সাড়া দিচ্ছিল না। তাকে দেখেই মনে হচ্ছিল, তার হাত, পা ভেঙে গিয়েছে। সেই সময় কেউ একজন তার পাল্স পরীক্ষা করে দেখেছিলেন। কিন্তু, তাতে স্পন্দনের বিন্দুমাত্র চিহ্ন ছিল না!

এদিকে, এই ঘটনার পরই সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন টাইয়ারের বাবা। তার প্রশ্ন, কেনো তার ছেলের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল? কারা এর জন্য দায়ী? আর কারও সঙ্গে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, সেই দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট

সঠিক স্মার্টফোন চার্জার নির্বাচন করার উপায়

Previous article

কালো তাজমহল বানাতে চেয়েছিলেন নিজের জন্য

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *