জীবনযাপন

বাঁশির সুর মুগ্ধ করলেও জীবন চলে অর্থকষ্টে

0
বাঁশির সুর

৮০ বছরের রহমত আলীর বাঁশির সুর দর্শকদের মুগ্ধ করলেও খুবই অর্থকষ্টে চলছে জীবন। বাঁশি বিক্রির পাশাপাশি সুর শুনে কেউ তাকে উপহার হিসেবে কিছু টাকা দিলে তা স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহণ করেন।

ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের নছির খানের ছেলে রহমত আলী খান ।

বৃদ্ধা জানান, ‘৫০ বছর আগে প্রতিবেশী এক চাচার কাছে বাঁশি বাজানো শিখেছি। গ্রামের মাঠে প্রান্তরে এবং গাছের শীতল ছায়ায় বসে মনের আনন্দে বাঁশি বাজাতাম। কখনো ভাবিনি এ বাঁশি একদিন আমার জীবন জীবিকার অবলম্বন হবে’।

করোনার সময় চায়ের দোকান বন্ধ হয়ে গেলে আর কোনো কাজ করার সামর্থ্য না থাকায় বাধ্য হয়ে বাঁশি নিয়ে রাস্তায় নামেন তিনি।

রহমত আলী জানান, সবাই উৎসাহ দিতে শুরু করলেন বাঁশি বাজানোর কাজটা যেন আমি চালিয়ে যাই। কিন্তু বাঁশি বাজিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা হয়তো আমার জন্য কঠিন হতো। তাই বাঁশি বাজানোর পাশাপাশি বাঁশি বিক্রি শুরু করি।

সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি মাইলের পর মাইল হেঁটে, বাস-ট্রেনের মধ্যে বাঁশি বাজিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন। জীবন সায়াহ্নে সংসারের বোঝা মাথায় নিয়ে পথচলা রহমত আলীকে দেখে অনেকেই ব্যথিত হন। কিন্তু জীবনতো চালাতে হবে তাই বাঁশি হাতে নিয়ে নিত্য তার এই ছুটে চলা।

কুষ্টিয়া ও সিরাজগঞ্জ থেকে আড় বাঁশি, কোকিল বাঁশি, কোদ বাঁশি, ১০ স্কেল ও ১১ স্কেল বাঁশিসহ বিভিন্ন ধরনের বাঁশি কিনে এনে বিক্রি করেন। তার কাছে ২০ টাকা থেকে ১০০ টাকা দামের বাঁশি আছে।

ট্রেনে,বাসে, পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বাঁশি বিক্রি করেন। আবার কখনো ঈশ্বরদী শহরের বাজার, পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে বাঁশি বিক্রি করেন। কোনদিন ৫০০, আবার কোনদিন ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয় তার।

কখনো সালাম সালাম হাজার সালাম, কখনো এক নদী রক্ত পেরিয়ে, আবার কখনো যাও পাখি বলো তারে সে জেনো ভোলে না মোরে, আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন, এমন ডজনখানেক গানের সুর বাঁশিতে তুলে দর্শকদের বিমোহিত করেন জীবন যুদ্ধে হার না মানা এই প্রবীণ।

আরও পড়ুনঃ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গভীর মহাকাশে আলোর সবচেয়ে উজ্জ্বল ঝলকানি দেখে বিস্মিত

স্মার্টফোন ভালো রাখতে কিছু প্রয়োজনীয় সেটিংস

Previous article

কোন সংকেতের অর্থ কী?

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *