ব্যবসা-বাণিজ্য

বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি সই

1
bngvtn

বাংলাদেশ ও ভুৃটানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সহজ করার লক্ষ্যে দুই দেশ ‘এগ্রিমেন্ট অন মুভমেন্ট অব ট্রাফিক-ইন-ট্রানজিট এন্ড প্রোটোকল’ সই করেছে। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভুটানের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী কর্মা দর্জি ট্রানজিট চুক্তিতে সই করেন। ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে এই চুক্তি সই হয়।

ভুটানের শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব দাশ তাশিওমাং এবং শক্তি ও নবায়নযোগ্য সম্পদ বিষয়ক সচিব দাশ কর্মা শেরিং এবং ভুটান চেম্বার অব ইন্ডস্ট্রিজ এর সভাপতিসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, যুগান্তকারী এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরো সহজ হবে এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে। এর মাধ্যমে কুটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশি রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ আন্ত:যোগাযোগ বৃদ্ধি ও আঞ্চলিক ভ্যালুচেইন সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে চায়। এর অংশ হিসেবে চারিদিকে স্থলভাগবেষ্টিত ভুটানকে বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তির আওতায় বিমান, রেল, স্থল, নৌবন্দর ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের সুযোগ প্রদান করছে।

আরও পড়ুনঃ সকলের সহযোগিতায় চিনি শিল্পের সুদিন ফিরিয়ে আনা সম্ভব : শিল্প সচিব

টিপু মুনশি আরো বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে ভুটানের পণ্য রপ্তানি ও আমদানি করলে বাংলাদেশ বিভিন্ন ফি এবং চার্জ লাভ করবে। এছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন হবে। ট্রানজিট চুক্তি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দরসমূহ আরো কর্মক্ষম হবে এবং রাজস্ব আয় বাড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক এই সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বাড়ানোর ব্যাপারে দুই দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশকে সমর্থন প্রদান এবং জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে সহযোগিতার জন্য ভুটানের প্রতি আহবান জানান।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানের পর ভুটানের মন্ত্রী, সচিব ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাগনের সাথে বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী কৃষিখাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বিশেষ করে মাশরুমসহ কৃষিপণ্যের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

উল্লেখ্য, তিন দফা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে চুক্তি এবং এর আওতায় প্রোটোকল চুড়ান্ত করা হয়। গত ১৩ মার্চ মন্ত্রিসভায় সেটি অনুমোদিত হয়। এই চুক্তি এর আগে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (টিটিএ)কে অধিকতর কার্যকর করবে। স্বাক্ষরিত চুক্তিটি উভয় দেশ রেটিফিকেশন করার পরে কার্যকর হবে।

বাংলাদেশ হবে একটি স্মার্ট দেশ : প্রধানমন্ত্রী

Previous article

চট্টগ্রামে মাসব্যাপী শুরু হলো জামদানী ও ক্ষুদ্র শিল্প মেলা

Next article

You may also like

1 Comment

  1. […] আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশ-ভুটানের মধ্যে ট্রানজিট চুক্… […]

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *