উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা

বান্ধবীর অনুপ্রেরণায় হোমমেইড খাবার নিয়ে উদ্যোগ শুরু করেন জান্নাতুল ফিরদাউস শ্যামলী

0
289818922 489914892907537 360911518529304299 n

উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‌‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, কথা হলো উদ্যোক্তা জান্নাতুল ফিরদাউস শ্যামলীর সঙ্গে। আজ শুনবো তার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প।

আমি জান্নাতুল ফিরদাউস শ্যামলী। ১৬ জুলাই ১৯৯২ সালে জামালপুর জেলায় কলেজ রোড, সরকার পাড়া গ্রামে আমার জন্ম।

নিজে কিছু করার সুপ্ত বাসনা আমার মনে ছিলো। কিন্তু আমার স্বামী চাকরি করতে দিতে অনিচ্ছুক। তাই ফেইসবুকে বান্ধবীকে উদ্যোক্তা হতে দেখে, অনুপ্রানিত হয়ে নিজেও উদ্যাক্তা হয়ে গেলাম। আমি হোমমেইড খাবারের বিজনেস করি। আমার একটা পেইজ আছে নাম “তাসুর রান্নাঘর”।

কিছু করতে চাইলে যে সবসময় বেশি মূলধন লাগবে তা নয়। মাত্র ৩৬০০ টাকা দিয়ে আমার যাত্রা শুরু। একজন উদ্যাক্তা হতে দরকার সাহস, ধৈর্য্য ও সততা। সাথে দরকার সুন্দর একটা পরিকল্পনা।

আমার “তাসুর রান্নাঘর” প্রতিষ্ঠানে আমি ও আমার স্বামী ছাড়া আরেকজন সহযোগী আছে। আলহামদুলিল্লাহ একজনের হলেও কর্মের ব্যবস্থা করতে পেরেছি।

আসলে চাকরি নামক সোনার হরিণের পিছনে না ছুটেও ঘরে বসে উদ্যাক্তা হয়ে অনেক কিছুই করা যায়। ইচ্ছে করলে সুন্দর একটা পরিকল্পনা করে অল্প মূলধনেও অনেক কিছু করা সম্ভব। “তাসুর রান্নাঘর” তার একটা প্রমান।

বর্তমানে নারীদের জন্য অনেক বড় একটা সুযোগ উদ্যোক্তা হওয়া। এই উদ্যোক্তা হয়ে অনেক বড় কিছু হওয়া সম্ভব। আমি এখনও আমার প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারি বা বেসরকারি কোনো সহায়তা পাইনি।

কাজের শুরুতে অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিলো। অনেকেই বলেছে এতো লেখাপড়া করে শেষে রাধুনি হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ যারা এসব বলেছে তারাই “তাসুর রান্নাঘর” এর সফলতা দেখে দু-একজন উদ্যাোক্তা হয়েছে। এখানেও আমার অনেক বড় একটা সফলতা কাজ করেছে।

আলহামদুলিল্লাহ প্রথম থেকেই বেশ সাড়া পেয়েছি। ১২ অক্টোবর ২০২১ সালে “তাসুর রান্নাঘর” এর যাত্রা শুরু হয়েছে। প্রথম দিন থেকেই অর্ডার পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। মাত্র আট মাসে অনেকের ভালোবাসা পেয়েছি। জামালপুর শহরে আমার প্রতিষ্ঠানের নামটি প্রায় সবার মুখে মুখে আনতে পেরেছি। এটাই আমার উদ্যোগের বড় সফলতা। কখনও নেগেটিভ রিভিউ পায়নি। কাস্টমাররা “তাসুর রান্নাঘর” এর খাবার খেয়ে বেশ সন্তুষ্ট।

আমার প্রতিষ্ঠানের সফলতা কাস্টমারের বিশ্বস্ততা। আলহামদুলিল্লাহ এই আট মাসে ৩ লাখের বেশি টাকার খাবার সেল করেছি। গত রোজায় বড় ছোট অর্ডার মিলিয়ে ১ লাখ টাকার উপরে সেল করেছি। একদিনে সর্বোচ্চ ২৫০ লোকের খাবার ও আমরা দিয়েছি।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো মানুষের দরজায় একদম টাটকা, ফ্রেশ ও হালাল খাবার পৌঁছে দেয়া। আর আকাশ ছুঁতে চাই। সবার দোয়া ও ভালোবাসায় সিক্ত হতে চাই।

বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন নিশি আক্তার

Previous article

দেশীয় পণ্য নিয়ে পথচলা সমৃদ্ধ করতে চান হাসিনা বিনতে হাই

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *