উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা

বিদেশি ফলচাষি প্রকৌশলী ফয়সালের বার্ষিক আয় ১৩ লাখ টাকা

0
বিদেশি ফলচাষি প্রকৌশলী ফয়সালের বার্ষিক আয় ১৩ লাখ টাকা

সাম্মাম, বাসন্তি বেগুন, ব্ল্যাক বেবি বারোমাসি তরমুজ, টপলেডি পেঁপে, ফিলিপাইনের কালো আখসহ নানা জাতের বিদেশি ফল চাষ করে প্রকৌশলীর চাকরি ছেড়ে আসা ফয়সালের এক বছরে আয় হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টাকা।

খুলনা পলিটেকনিক থেকে ২০১০ সালে মেকানিক্যাল ট্রেডে ডিপ্লোমা পাস করে বেসরকারি চাকরিতে যোগ দেন শেখ ফয়সাল আহম্মেদ।

তরুণ উদ্যোক্তা ফয়সাল বলেন, পারিবারিকভাবেই কৃষির প্রতি আগ্রহ ছোটবেলা থেকে। পরে চাকরি ভালো না লাগায় করোনার মধ্যে ছেড়ে বাড়ি চলে আসি। গড়ে তুলি মধুমতি এগ্রো নামে কৃষি খামার। প্রথমে মাত্র ৫০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ৪৫ শতক জমিতে কৃষিকাজ শুরু করি। বর্তমানে ১৫ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করছি। আমার এখানে বর্তমানে ১২ জন নারী-পুরুষ কাজ করছেন।

আরও পড়ুনঃ ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ৩ লাখ টাকার আতা বিক্রি

ফয়সাল আরও বলেন, এই মুহূর্তে খামারে গাছ রয়েছে সাম্মাম ১০ হাজার, বাসন্তি বেগুন ৬০০, টমেটো (বাহুবলি এবং জিরো টু সেভেন) ৭ হাজার, টপলেডি পেঁপে ১০০, ব্ল্যাক বেবি তরমুজ দেড় হাজার এবং ফিলিপাইনের কালো আখ ৩ হাজার।

তিনি বলেন, বর্তমানে দুই একর জমিতে সাম্মাম চাষ হচ্ছে। সাম্মাম রোপণ থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত ৭৫ দিন সময় লাগে। এক জমিতে বছরে তিনবার সাম্মাম চাষ করা যায়। প্রতিবার চাষে সার, বীজ, মাচানসহ প্রথম বার একর প্রতি দুই লাখ টাকা খরচ হয়, পরের বার অর্ধেক খরচেই চাষাবাদ করা যায়।

মোল্লাহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিমেষ বালা বলেন, বাগেরহাটের মোল্লাহাটে কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছেন শেখ ফয়সাল আহম্মেদ।

 

ইলিশ ধরা ও কেনা-বেচায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা

Previous article

টেনিস থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন ফেদেরার

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *