বিরল রোগও থামিয়ে রাখতে পারেনি তাকে, গড়েছেন দুইটি বিশ্বরেকর্ড

পা ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেন আমেরিকান জিওন ক্লার্ক। জন্ম থেকে বিরল এই জিনগত রোগে আক্রান্ত হওয়াও তাকে থামাতে পারেনি, গড়েছেন দুইটি বিশ্বরেকর্ড।

৩ মিনিটে ২৪৮ ডায়মন্ড পুশ আপ দিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছেন জিওন। এর আগে ৪.৭৮ সেকেন্ডে দুই হাতে দ্রুততম ২০ মিটার দৌড়ানোর জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছেন।

২৪ বছর বয়সী মার্কিন অ্যাথলিট জিওন মাতৃগর্ভেই কডাল রিগ্রেসন সিন্ড্রোম নামক জটিল রোগে আক্রান্ত হন। এতে তার দুটি পা এবং মেরুদণ্ডের বেশ খানিকটা অংশ গড়ে ওঠেনি।

জন্মের পর জিওনের বাবা-মা তাকে ছেড়ে যায় অনাথ আশ্রমে। আমেরিকার ফস্টার কেয়ারেই বড় হয়েছেন জিওন। সেখানে সবসময় অবহেলা আর নির্যাতন লেগেই থাকত। স্কুলে সহপাঠীদের কাছেও বারবার বিদ্রূপের শিকার হয়েছেন জিওন। তবে থেমে যাননি তিনি। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তার কোনো কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

ফস্টার কেয়ার সিস্টেম থেকে কিম্বারলি হকিন্স নামের এক নারী দত্তক নেন জিওনকে। সন্তানের মতোই স্নেহ আর ভালোবাসায় জিওনকে কাছে টেনে নেন হকিন্স। তারই অনুপ্রেরণায় জিওন আমেরিকার একজন প্রথম সারির অ্যাথলিট হতে পেরেছেন।

পুশ আপ কার্যকরী চেস্টের ও ঘাড়ের ব্যায়াম। নারী পুরুষ উভয়েই করতে পারেন এই ব্যায়াম। পুশ-আপের একটি ধরন ডায়মন্ড পুশ আপ। এটি সাধারণ পুশ-আপের তুলনায় একটি কঠিন বেশি।

ডায়মন্ড পুশ-আপ দিতে হাতগুলোকে প্রথমে একসঙ্গে করে হীরার আকৃতির করে মাটিতে রাখতে হবে। এরপর পুশ-আপ দিতে হবে। জিওন দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় এই ক্যাটাগরিতে রেকর্ডটি করেন।

কোনো বিশেষ ক্যাটাগরিতে নয়, বরং পুশ-আপের পুরুষ ক্যাটাগরিতে তিন মিনিটের মধ্যে ২৪৮ ডায়মন্ড পুশ আপ সম্পন্ন করেন তিনি।

গত জানুয়ারিতেই ৪.৭৮ সেকেন্ডের মধ্যে ২০ মিটার দৌড়ান তিনি। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের স্বীকৃতি পান হাত দিয়ে সবচেয়ে কম সময়ে দৌড়ানো অ্যাথলিট হিসেবে।

আরও পড়ুনঃ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গভীর মহাকাশে আলোর সবচেয়ে উজ্জ্বল ঝলকানি দেখে বিস্মিত