উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা

বেকারত্ব দূর করে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী করতে চান উদ্যোক্তা নাসির আহমেদ

0
Untitled design 2

উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‌‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, নিজের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেছেন নাসির আহমেদ। চলুন শুনি তার উদ্যোক্তা জীবনের গল্প।

আমি নাসির আহমেদ। ঢাকায় জন্ম আর ছোট থেকেই ঢাকার কুড়িলে বেড়ে উঠা৷ আমার কলেজ শিক্ষক এর কাছ থেকে মূলত আমার উদ্যোগের অনুপ্রেরণা পাওয়া। যখন করোনা মহামারী আঘাত হানে তখন তিনি বেকার হয়ে যান। তারপর তিনি নিজস্ব একটা বিজনেস গড়ে তুলেন। আমি তার পোস্টগুলি অনেক দেখতাম আর অনুপ্রেরণা পেতাম৷ ২-৩ দিন তার সাথে আড্ডা দিতে দিতে অনলাইন বিজনেস নিয়ে অনেক কিছু জানতে পারি আর শিখতে পারি৷

আমি কাজ করছি অর্গানিক আইটেম, ড্রাই ফ্রুটস, ঘি, মধু, বাটার, সরিষার তেল এবং বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় খেলনা নিয়ে। এছাড়াও আছে ইলেকট্রনিকস আইটেম। আমার কাছে ৫০ রকমেরও বেশি আইটেম আছে। যা খুবই দরকারি ও সেবামুলক পণ্য৷ আমার বিজনেস পেজঃ “Capital Market” (ক্যাপিটাল মার্কেট)।

শুরুটা রিসেল এর মাধ্যমে, বিনা পুঁজিতে। কিন্তু আস্তে আস্তে অই টাকা দিয়েই মুনাফা যা পেতাম বিজনেস এর কাজে লাগাতাম।

আত্মবিশ্বাস, পরিশ্রম ও লেগে থাকা এগুলোর সমন্বয়েই গড়ে উঠে একজন উদ্যোক্তা। নিজের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে আমি পারবোই, আমাকে পারতেই হবে। একজন উদ্যোক্তাকে নিজের পারসোনাল একটা বন্ডিং তৈরি করা, ফেসবুক আইডিকে সুন্দরভাবে সাজানো, নিজের পেজ কে সাজানো এই বিষয়গুলোর দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।

বর্তমানে আমার নিজস্ব লোক রয়েছে সাত জন৷ যাদের পরিশ্রমের বিনিময়ে বিজনেস আরো এগিয়ে যাচ্ছে।

পড়ালেখা শেষে চাকরি হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। তাই আমি মনে করি নিজে কিছু করার যে শান্তি এবং স্বাধীনতা, এতে অন্য কিছুতে নাই। আমি নিজের অধীনে অন্যদের সুযোগ করে দিতে চাই, যেনো তাদের বেকারত্ব দূর হয়।

আমার প্রতিষ্ঠান সকলের সেবায় কার্যকর থাকে। পুরো বাংলাদেশে আমাদের নিজস্ব লোক রয়েছে। যারা আমাদের পণ্য পৌঁছাতে সাহায্য করে। আমাদের নিজস্ব ডেলিভারি সুবিধাও রয়েছে। এমন কি আমি নিজেও ডেলিভারি দিয়ে থাকি৷ ক্রেতার চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন পণ্য সংযোজন করে থাকি।

আমাদের দেশের কথা চিন্তা করে আমাদের নারীদের নিজস্ব একটা পরিচয় হওয়া উচিত। বর্তমান প্রেক্ষাপট নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য খুবই উপযোগী।

বিজনেস এর শুরুতে অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতা থাকবে। এইগুলি পার করেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে। বাঁধা অতিক্রম করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

আলহামদুলিল্লাহ প্রতি মাসে আমার ৫০ হাজার টাকার উপরে সেল হয়। অনেক বেশি খুশি কাস্টমার। এখন অব্দি ৩৫০ এর অধিক কাস্টমার কে সুন্দরভাবে তাদের পণ্য হাতে পৌঁছাতে পেরেছি৷

সরকারি বা বেসরকারিভাবে তেমন সহযোগিতা পাই নি। কিন্তু আমাদের প্রিয় গ্রুপ ‘উই’ থেকে অনেক বেশি সহযোগিতা পেয়েছি।

ইতিমধ্যে ৩৫০ এর বেশি ডেলিভারি দিয়েছি এবং গত ১০ মাসে ৪ লাখ টাকার উপরে সেল করেছি। এটাই মনে করি আমার প্রতিষ্ঠানের অনেক বড় অর্জন।

স্বপ্ন দেখি আমার প্রতিষ্ঠান অনেক বড় থকে বড় হবে। বাংলাদেশের নামকরা প্রতিষ্ঠান হবে। সবাই এক নামে চিনবে। ১০০ বেকার এর কর্মসংস্থান করতে চাই। ব্যবসায় অনেক কে সাহায্য করতে চাই। ৫ বছর পর আমার নিজস্ব আরো ৫ টা শোরুম দেখতে চাই বিভিন্ন জায়গায়। আর সকলের ভালোবাসায় আরো এগিয়ে যেতে চাই।

আন্তর্জাতিক বাজারেও নিজ পণ্যের ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করতে চান অনুভা

Previous article

১০ হাজার কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ করলো সিসিক

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *