উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা ব্যর্থতাকে শক্তিতে রূপান্তর করতে চায় ‘অপরাজিতা’ By নিজস্ব প্রতিবেদক December 20, 20221 ShareTweet 1 “আমি অপরাজিতা, হেরে গিয়েও জিতে যাই” এই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে অপরাজিতার যাত্রা শুরু হয়। অপরাজিতার শুভ উদ্বোধনের দিন অপরাজিতাদের মিলন মেলায় এক অন্যরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিলো। কেউ হাসছিলো, কেউ কাউকে জড়িয়ে ধরে কান্না করছিলো আবার কেউ নতুন কিছু করে দেখানোর স্বপ্ন বুনছিলো। অপরাজিতা আমার লক্ষ্য না, এটা আমার স্বপ্ন। আমার লক্ষ্য হলো প্রতিটা ঘরে যেনো একজন হলেও উদ্যোক্তা তৈরি হয়। “ঘরে ঘরে উদ্যোক্তা গড়ো” এই লক্ষ্যেই আমি এগিয়ে যাচ্ছি। এখন আমার লক্ষ্যের সাথে যুক্ত হয়েছে আরো অনেক অপরাজিতা। অপরাজিতাদের নিয়ে আরো বহুদূর এগিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। আমার অপরাজিতার পেছনে একটা ছোট গল্প আছে – যে মানুষটার অনুপ্রেরণায় আমি অপরাজিতা হবার সাহস পেয়েছি তিনি হলেন আর একজন অপরাজিতা লাইলা ইয়াসমিন আপু। যার জীবন যুদ্ধের গল্প সিনেমাকেও হার মানাবে। লাইলা আপু প্রায় ফোন করে বলতেন আপু আমাকে একটু হেল্প করেন। আমার মেয়েটা না খেয়ে আছে। আমি তখন আমার সাধ্য অনুযায়ী তাকে হেল্প করতাম। একসময় আপু আমাকে বললো আর পারছি না, আমাকে একটা কাজ দিবেন? এমন কিছু একটা দেন যেটা দিয়ে আমি চলতে পারবো। তখন চিন্তা করে দেখলাম আমি যদি এমন কিছু করতে পারি যেটা লাইলা আপুর মতো আরো হাজার লাইলা কে সাবলম্বী করে তুলবে। ঠিক তখন থেকেই অপরাজিতা নিয়ে আমার স্বপ্ন দেখা শুরু হলো। জানি না আমার স্বপ্ন লক্ষ্যে পৌঁছাতে আরো কতোদিন লাগবে, তবে আশা করি খুব শীঘ্রই আমার স্বপ্নের মতো আমার লক্ষ্য পূরন হবে। আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নে YEESBD পরিবার সবসময় আমার সাথে ছিল। YEESBD (Youth Entrepreneurs and e-Commerce Society of Bangladesh) পরিবার উদ্যোক্তা গড়ার এক বিশাল প্ল্যাটফর্ম। যারা তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে নানামুখী আয়োজনের মাধ্যমে যুব সমাজকে যুব শক্তিতে পরিণত করছে। আমি অনেক ভাগ্যবান এমন একটি পরিবার আমার সাথে আছে। আজ আমার এই আনন্দের দিনে যারা আমার সাথে ছিলেন সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ। সব শেষে একটা কথাই বলবো, অপরাজিতা আমার একার কিছু না। অপরাজিতা আপনাদের সবার। আপনারা সবাই এটাকে ভালোবেসে এটার ভালো করবেন। সেজন্য সব অপরাজিতার পাশে আমি আছি এবং আমার সাধ্য অনুযায়ী আমি চেষ্টা করবো প্রতিটা মূহুর্ত যেনো থাকতে পারি। স্যানিটারি ন্যাপকিন যা একটা বয়সের পর প্রতিটি নারীর জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়ায়। যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে এখনো একজন নারী লজ্জা পায়। এই লজ্জা ভাঙতেই আমি অপরাজিতা সবার হাতে তুলে দিতে চাই। নারীর যন্ত্রণা কে তার শক্তিতে রূপান্তরিত করতে চাই। তার ব্যর্থতাকে অবলম্বন করে সাবলম্বী করে তোলার লক্ষ্যেই আমার এই উদ্যোগ। আরও পড়ুনঃ অনুষ্ঠিত হলো ‘ইয়েসবিডি’র ২য় বর্ষপূর্তী আয়োজন অপরাজিতা আমি গ্রাম বাংলার প্রতিটি নারীর হাতে তুলে দিতে চাই। গ্রামের মহিলারা যেনো সচেতন হন এ লক্ষ্যে কাজ শুরু করবো খুব শীঘ্রই।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231561 views