ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে কর্পোরেট কর ১০-১৫ শতাংশ করার দাবি ব্যবসায়ীদের By নিজস্ব প্রতিবেদক February 11, 20220 ShareTweet 0 দেশে বেশিরভাগ ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের। তাই এ খাতের কর্পোরেট করহারও কম হওয়া উচিত। প্রতিযোগীতা সক্ষমতা বাড়াতে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের কর্পোরেট কর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২: বৃহষ্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রিজ সম্পর্কিত এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়। এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির চেয়ারম্যান আবুল কালাম ভুঁইয়া বলেন, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের কর্পোরেট করহার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হলে তা এ শিল্পের বিকাশে সহায়তা করবে। এ শিল্পের সম্প্রসারণে উদ্যোক্তাদের স্বল্পমূল্যে জমির বন্দোবস্ত করারও দাবি জানান আবুল কালাম ভুঁইয়া। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এম এ মোমেন বলেন, আজকের বড় প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প হিসেবে যাত্রা শুরু করেছিলো। তাই দেশের সার্বিক উন্নয়নে এ শিল্পের ভূমিকা অনস্বীকার্য। এখাতের উন্নয়ন ছাড়া শিল্পায়ন সম্ভব নয়। ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ না থাকলে শিল্পের সাপ্লাই চেইন ভেঙে পড়বে। তাই এ শিল্পের উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। সেজন্য সরকারের নীতি নির্ধারণে এ খাতকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। কমিটির ডিরেক্টর-ইন-চার্জ ড. যশোধা জীবন দেবনাথ এ খাতের জন্য আলাদা শিল্প এলাকা প্রতিষ্ঠায় সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পোদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাংক ঋণ পেতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। ড. যশোধা জীবন দেবনাথ বলেন এলডিসি পরবর্তী শিল্পায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের সম্প্রসারণ অপরিহার্য। বৈঠকে ব্যবসায়ীরা রাজস্ব ও বন্দর কর্মকর্তাদের হয়রানি, মাত্রাতিরিক্ত লাইসেন্স ও নবায়নের বিধান, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় পিপিআরের বিধান লঙ্ঘন, একই পণ্য আমদানিতে রপ্তানিমুখী ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের মধ্যে শুল্ক বৈষম্যকে এ শিল্পের বিকাশে প্রধান বাধা হিসেবে চিহ্নিত করেন। এসময় তারা আগামী শিল্পনীতিতে ব্যাকওয়ার্ড লিংকজকে অন্তর্ভুক্ত করা, স্বলমূল্যে জমি প্রদান, বিসিককে আরো গতিশীল ও উন্নত করা, পিপিআর এর বিধান অনুযায়ী সরকারি ক্রয়ে স্থানীয় পণ্যকে অগ্রাধিকার দেয়া ও দেশে উৎপাদীত পণ্যের সুরক্ষায় আমদানিকে নিরুৎসাহীত করার দাবি জানান। ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে একই শিল্প গ্রুপের মালিকানাধীন একটি কোম্পানির আর্থিক অবস্থার প্রেক্ষিতে আরেকটি কোম্পানিকে যাচাই না করার দাবিও উঠে আসে বৈঠকে। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক বিজয় কুমার কেজরীওয়াল ও হারুন অর রশীদ, কমিটির কো-চেয়ারম্যান চৈতন্য কুমার দে (চয়ন), মোঃ সালাউদ্দিন ইউসুফ, জিয়া হায়দার মিঠুসহ অন্যান্য সদস্যরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231562 views