স্বাস্থ্য

ব্লাড সুগার টেস্ট এর সময় যে ভুলগুলো এড়িয়ে চলবেন ডায়াবেটিস রোগীরা

0
iStock 5110537221

ঠিকমতো খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি সুস্থ জীবনযাপনও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। রোজ ল্যাবে গিয়ে পরীক্ষা করলে খরচ বাড়ে। ভোগান্তিও হয়। সে কারণে অনেকেই এখন বাড়িতে গ্লুকোমিটারের পরীক্ষা করছেন রক্তের শর্করার মাত্রা। কিন্তু জানেন কি, এক্ষেত্রে আপনার বেশ কিছু ভুলে আসতে পারে ভুল ফলাফল? যা থেকেই চরম সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি।

ডায়াবেটিক রোগীরা বাড়িতে রক্ত পরীক্ষার সময়ে কোন কোন নিয়ম মেনে চলবেন?

রক্ত পরীক্ষার আগে অবশ্যই হাত ধোবেন

প্রতিবার গ্লুকোমিটার ব্যবহার করার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। তারপর হাত মুছে রক্তের প্রথম ফোঁটাটি নিতে হবে। হাতে কিছু লেগে থাকলেই ফলাফল ভুল আসতে পারে।

একই সূচ দীর্ঘদিন ব্যবহার নয়

অনেক রোগী একই সূচ পাঁচ থেকে ছয়বার ব্যবহার করেন। এটি সংক্রমণের সম্ভাবনা বহু গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

গ্লুকোমিটারের সঠিক পদ্ধতিতে যত্ন নিতে হবে

যন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি যত্নশীল হওয়াও দরকার। ভালোমানের যন্ত্র কেনা, নির্দিষ্ট সময় পরপর তার পরিমাপের নির্ভুলতা পরীক্ষা করা, ব্যাটারির দিকে খেয়াল রাখা, প্রতিবার ব্যবহারের আগে যন্ত্রটি ‘রিসেট’ করার বিষয়ে নজর দিতে হবে। খুব বেশি ঠান্ডা জায়গায় যন্ত্রটি রাখবেন না। সূর্যের তাপ যেনো যন্ত্রের উপর না পড়ে সেদিকেও নজর রাখবেন।

আঙুলের উপর ভাগ থেকে রক্ত সংগ্রহ নয়

সূচ ফুটিয়ে রক্ত পরীক্ষা করলে যথেষ্ট ব্যথা হয়। অনেকেই আঙুলের একেবারে ডগায় সূচ ফুটিয়ে রক্ত পরীক্ষা করেন। সেক্ষেত্রে ব্যথা আরও বেশি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আঙুলের এক পাশে পরীক্ষা করলে ব্যথা খানিকটা হলেও কম হয়। কাজেই একই আঙুলে পরীক্ষা না করে বিভিন্ন আঙুলে পরীক্ষা করুন।

তালিকা তৈরি করুন

প্রত্যেকদিনের ফলাফল এক জায়গায় লিখে রাখা খুব জরুরি। সেই তালিকা দেখেই চিকিৎসক বুঝতে পারবেন, আপনার শরীরে ওষুধ আদৌ কাজ করছে কি না। এছাড়া ঠিক কোন খাবার খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ছে, তা-ও জানতে পারবেন এই তালিকা থেকে।

দিনের বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষা করুন

কেবল সকালে খালি পেটে কিংবা খাবার দুই ঘন্টা পরে রক্ত পরীক্ষা করলে চলবে না। দিনের বিভিন্ন সময়ে আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণ কতখানি তা-ও জানা দরকার।

এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে আরও ঋণ প্রয়োজন

Previous article

ওজন নিয়ন্ত্রনে বয়স অনুযায়ী খাবারের রকমফের

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *