তথ্য ও প্রযুক্তি

মহাবিশ্বের যেসব নক্ষত্রে প্রাণের অস্তিত্ব আছে!

0
download 1

মহাবিশ্বে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে এমন নক্ষত্রগুলো হলো লাল বামন বা রেড ডোয়ার্ফ, এমন মন্তব্যে সম্প্রতি বেশ আলোচনায় একদল জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
বলে রাখা ভালো, মহাকাশে অবস্থিত যে সকল বস্তু নিজের অভ্যন্তরে থাকা পদার্থকে জ্বালিয়ে ফিউশন বিক্রিয়া ঘটাতে পারে এবং আলোক উজ্জ্বল হয় তাদেরকে নক্ষত্র বলে।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে-লাল বামন আবার কী ধরনের নক্ষত্র? আসলে সূর্যের মত প্রচন্ড উত্তপ্ত ও কোটি কোটি সেলসিইয়াস উষ্ণতায় উত্তপ্ত তরুণ নক্ষত্রের বার্ধক্য দশা হলো এই লাল বামন নক্ষত্র। শক্তিদায়ক হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম ফুরিয়ে আসা ও আকারে কুঁকড়ে যাওয়া নক্ষত্রের নাম রেড ডোয়ার্ফ তারা।

সূর্যের ভরের ১৫ গুণ বড় তারাগুলোতে যে পরিমাণ হাইড্রোজেন থাকে তা জ্বালানিরূপে নিঃশেষ হতে সূর্যের জীবনকালের একহাজার ভাগের এক ভাগ সময় লাগে। তারার কেন্দ্রে হাইড্রোজেন গ্যাস নিঃশেষ হয়ে গেলে কিন্তু তখনও পর্যন্ত হিলিয়াম গ্যাসের জ্বালানী বিদ্যমান থাকে। এটির নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া আলফা স্তরে পৌঁছানো পর্যন্ত, কিছুকাল যাবত জ্বলতে থাকে এবং এর আয়তন আরও বেড়ে যায়। উজ্জ্বল লাল তারাগুলো তখন লাল অতিদানব তারায় পরিণত হয়।

বিজ্ঞানীদের মতে, জন্মলগ্ন থেকেই সূর্য ও অন্যান্য নক্ষত্রের তুলনায় লাল বামন তারাদের উত্তাপ অনেকটাই কম থাকে। কেননা সূর্যের মোট ভরের চল্লিশ শতাংশ পদার্থও তাদের মধ্যে নেই। ফলে তাদের মধ্যে পারমানবিক বিক্রিয়া যা থেকে তাপ উৎপন্ন হয়, তা ঘটে খুব কম পরিমানে এবং অত্যন্ত ধীর লয়ে। এর ফলে লাল বামন তারার মধ্যে শক্তিও উৎপন্ন হয় খুবই কম এবং অত্যন্ত ধীর লয়ে। এ ধরনের তারার ব্যাস অনেক বড় হয় কিন্তু উপরিপৃষ্ঠের তাপমাত্রা খুবই কম বা সাড়ে তিন হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার কেলভিন থাকে। এরা লাল অতিদানব তারা হলেও, এমনকি মহাবিশ্বের আয়তনের দিক দিয়ে সর্ববৃহৎ তারা হলেও কিন্তু ভরের দিক দিয়ে নয়। অধিকাংশ লাল অতিদানব তারাগুলোর ব্যাস সূর্যের ব্যাসের দু’শ থেকে আট’শ গুণ বড় হয়ে থাকে। এরা সংখ্যায়ও অনেক। সাধারণত: দশ থেকে এক’শ মিলিয়ন বছর টিকে থাকে এবং গুচ্ছাকারে অবস্থান করে।

পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের লাল বামন নক্ষত্র হলো চার আলোকবর্ষ দূরের থাকা প্রক্সিমা সেন্টরাই নামক তারা। কালপুরুষ নক্ষত্রমন্ডলের আর্দ্রা তারাটি লাল অতিদানব তারার একটি উদাহরণ। ১০০ বছরে এই তারার মধ্যে যে পরিমাণ তাপশক্তি উৎপন্ন হয়, সূর্যের মধ্যে সেই শক্তি তৈরি হতে সময় লাগে মোট এক সপ্তাহ।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জোর দাবি এখানেই, সূর্যের যতোই কাছে হোক না কেন, এমন কম উত্তাপযুক্ত লাল বামন গ্রহে প্রাণ ধারণ সম্ভব।

আরও পড়ুনঃ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গভীর মহাকাশে আলোর সবচেয়ে উজ্জ্বল ঝলকানি দেখে বিস্মিত

সোনার রোলস রয়েলসওসহ আছে ৭০০০ গাড়ি!

Previous article

দুটি আক্কেল দাঁত তুলে ৯ বছরের শিশুর নাম গিনেস বুকে

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *