স্বাস্থ্য

মানুষের চর্বির ব্যবহার হতো চিকিৎসায়!

0
Untitled 1 copy 56

১৬ শতাব্দীতে ইউরোপে জমজমাট ছিলো মানুষের চর্বির ব্যবসা। ফাঁসি দেয়া ব্যক্তির শরীরকে টুকরো টুকরো করে কেটে চর্বি আলাদা করে বিক্রি করা হতো। মূল্যবান এই চর্বি শুধু বন্দিদের থেকেই নয় আটককৃত সৈন্যদের থেকেও সংগ্রহ করা হতো।

সেসময় মানুষের এই চর্বি অ্যাকসুঙ্গিয়া হোমিনিস বা দরিদ্র পাপের চর্বি নামে পরিচিত ছিল। যারা প্রচুর অর্থের মালিক ছিলেন, কেবল তারাই এই চর্বি কেনার সামর্থ্য রাখতেন। অন্যদিকে বিপুল অর্থে এই চর্বি বিক্রি করে সম্পদের মালিক হতেন জল্লাদরা।

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছিল এই ব্যবসার চল। বিশেষ করে জার্মানি ও ফ্রান্সে। মূলত এই চর্বি চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হতো।

১৬০১ সালে প্রথম এই চর্বি ব্যবহারের শুরু হয়। ওস্টেন্ডের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর, ডাচ সার্জনরা যুদ্ধক্ষেত্রে চর্বি সংগ্রহের কাজ শুরু করে। এগুলো তারা তাদের নিজেদের সৈন্যদের ক্ষতের চিকিৎসায় ব্যবহার করেছিল।

চর্বি সংগ্রহের পর ফার্মেসিতে পাঠানো হতো এবং তা দিয়ে শরীর ও দাঁতের ব্যথা, বাতের মতো রোগ ইত্যাদির জন্য ওষুধ তৈরি করতে ব্যবহার করা হতো। এমনকি এটি তখন হাড় মজবুত করার জন্য একটি শক্তিশালী খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হতো।

এছাড়াও দাগ কমাতে, ক্ষত নিরাময়েও মলমের মতো করে ব্যবহার হতো মানুষের চর্বি। চিকিৎসকরা এই চর্বি লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিতেন ক্ষত স্থান। খুব কম সময়েই ক্ষত সেরে উঠতে সাহায্য করত এই চর্বি।

আরও পড়ুনঃ জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গভীর মহাকাশে আলোর সবচেয়ে উজ্জ্বল ঝলকানি দেখে বিস্মিত

৬২ বছর ধরে চলছে সিঙ্গারার ব্যবসা

Previous article

সোনার রোলস রয়েলসওসহ আছে ৭০০০ গাড়ি!

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *