উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা

মায়ের অনুপ্রেরণায় টেইলারিংয়ে স্বপ্ন বুনছেন জেরিন সুলতানা পলি

0
poollyyy

উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‌‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, কথা হলো উদ্যোক্তা জেরিন সুলতানা পলির সঙ্গে। আজ শুনবো তার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প।

আমি জেরিন সুলতানা পলি। আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ঢাকার ধানমণ্ডি ঝিগাতলায়।

মায়ের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়া। মা আমাকে এই টেইলারিং কাজটা শিখিয়ে ছিলেন।

আমার প্রতিষ্ঠানের নাম রংধনু ফ্যাশন। আমি সবধরনের মেয়েদের ড্রেস মেকিং এর সার্ভিস দিয়ে থাকি। বর্তমানে শাড়ী দিয়েই শাড়ী তৈরী করছি।

শুরুটা ছিলো এক্সাইটেমেন্টে ভরপুর। কারণ ১ম কাজ করবো তাই, আর মূলধন ছিলো ৫,৩০০ টাকা।

আমি মনে করি একজন উদ্যোক্তা হতে সবচেয়ে বড় যে সাপোর্ট প্রয়োজন তা হলো অনুপ্রেরণা।prdcts2বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানে কর্মী আছে ২জন। এছাড়া সিজনে ২/১ জন বাড়ে।

আসলে প্রথমে আমি চাকরি করেছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম আমার তো একটা কাজ জানা আছে, আমি সেটা নিয়েই এগোবো। আর দ্বিতীয়তো সংসার ও বাচ্চা রেখে যাওয়াটা খুব কঠিন, তাই সবদিক সামলে এই কাজটা করা যেতেই পারে।

আমার প্রতিষ্ঠান আমার সন্তানের মতো একটু একটু করে লালন পালন করেছি।

আমি বলবো কাজ শিখে কাজ করাটা উদ্যোক্তাদের জন্য যথেষ্ট উপযোগী।

আরও পড়ুনঃ নেতিবাচক মন্তব্যকে পেছনে ফেলে সফল উদ্যোক্তা আজমীর সুলতানা

প্রতিবন্ধকতার অভিজ্ঞতা বলতে একটু তো হয়ই, যেমন কুরিয়ারের মাধ্যমে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মাঝেমধ্যেই।

সেল বলতে মোটামুটি আর কাষ্টমারের সন্তুষ্টি আলহামদুলিল্লাহ।

ইপি গ্রুপ থেকে পেয়েছি বলতে ক্রেতা পেয়েছি। তবে সরকারি-বেসরকারি কোনো আর্থিক সহযোগিতা এখনো পাইনি।

এখনও তেমন কিছু অর্জন করতে পারিনি, কিন্তু ক্রেতার খুশি অর্জন করতে পেরেছি।

প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে তো স্বপ্ন আছে সব জায়গায় ছড়িয়ে পরবে, সুনাম কুড়াবে। আগামী ৫ বছর পর আমি আমার স্বপ্নকে সাফল্যের চূড়ায় দেখতে চাই।

প্যারিসে শুরু হচ্ছে গাজা সহায়তা সম্মেলন

Previous article

অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে সাধারণ জনগণ : প্রধানমন্ত্রী

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *