কৃষি

মুন্সীগঞ্জে আমনের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

1
amon

জেলার সিরাজদিখানে আমনের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলাটির ১৪ ইউনিয়নে আমন ধানের সোনালী শীষে ভরে গেছে কৃষকের ক্ষেত। বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৮৯০ হেক্টরের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ৫৯০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ বেশী হয়।

মুন্সীগঞ্জ জেলার ছয় উপজেলায় এ বছর ১ হাজার ৯শ’ ৮৪ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২ হাজার ৭ শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে। এরমধ্যে সিরাজদিখান উপজেলাতেই ২ হাজার ৪শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। সরকারি হিসাবে এরই মধ্যে ৮০ হেক্টর জমির আমন কর্তন হয়, সেটিও সিরাজদিখানে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ পরিচালক ড. আব্দুল আজিজ জানান, মাটির অবস্থা এবং নদীর অববাহিকাসহ নানা কারণে সিরাজদিখানে আমন চাষ ভালো হচ্ছে। আর এ বছর আবহাওয়া আমনের অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এ বছর সিরাজদিখানে হেক্টর প্রতি ৩ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে।

মাঠের যেদিকেই চোখ মেলে দেখা যায় আমন ধানের সবুজের মাঝে সোনালী ঢেউ। যা দেখে আমন ধান চাষিদের প্রাণেও আনন্দের ঢেউয়ের মতো খেলে যাচ্ছে। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের প্রতীক্ষা, প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকরা নিশ্চিত।

আরও পড়ুনঃ শীতকালীন পেঁয়াজ চাষে গোপালগঞ্জে ৫২০ কৃষক প্রণোদনা পাচ্ছেন

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ৫০ ভাগ ধানগাছ সোনালী শীষ নিয়ে মাটির জমিনে দাঁড়িয়ে আছে। এ ধান কদিন পরেই কৃষকের বাড়িতে গেলে, ভরে উঠবে কৃষকের শূন্য গোলা। রাত জেগে গৃহিণীরা ধান সিদ্ধ করে সকাল থেকে মাঠে ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করবেন।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যারা একটু আগাম আমন ধান চাষ করেছেন তাদের ধানে পাক ধরেছে। বেশ কিছু এলাকায় ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। তবে কদিন পরেই শুরু হবে পুরোদমে ধান কাটা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবারে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় বাম্পার আমন ধান ফলন অর্জিত হয়েছে। বাংলা কার্তিক মাসের শেষের দিকে আমন ধান কাটাই-মাড়াই শুরু হবে। গত বছরের মতো এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় উপজেলা জুড়ে কৃষকের মুখে হাসির জোয়ার বইছে।

চন্দনধূল গ্রামের কৃষক মো. জুয়েল শেখ বলেন, এ বছর আমি ৮৫০ শতাংশ জমিতে ধান রোপণ করেছি আমার ধান ভালো হয়েছে। ফসলের ক্ষেতে রোগ কিংবা পোকার কোনো আক্রমণ ছিলো না। উৎপাদন ভালো হয়েছে। দাম ভালো পেলে লাভবান হতে পারবো। জৈনসার ইউনিয়নের কৃষক মাসুম ঢালী জানান, ১৭০ শতাংশ জমিতে ধান রোপণ করেছি ফসলের ক্ষেতে রোগ কিংবা পোকার কোনো আক্রমণ ছিলো না তাই ফলনে আমি খুশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু সাঈদ শুভ্র বলেন, এ বছর আমনের সুন্দর আবাদ হয়েছে। আমরা যেভাবে বলেছি সেভাবেই হয়েছে। আশা করছি, আমরা যা ধারণা করছি তার চেয়ে বেশি ফসল পাবো। আর আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে হাসির ঝিলিক। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি হেক্টরে কৃষকরা ধান পাবে সাড়ে ৪ দশমিক ৫ মেট্রিক টন।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২২ ঘোষণা

Previous article

সফল মিশন শেষে চীনের ৩ নভোচারী পৃথিবীতে ফিরেছেন

Next article

You may also like

1 Comment

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More in কৃষি