কৃষি

রঙিন ফুলকপির আবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শেরপুরে

0
ফুলকপি চাষে শফিকুলের চমক 2301200628

শেরপুর জেলায় রঙিন ফুলকপি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় কৃষক শফিকুল ইসলাম সারা বছরই তার জমিতে নানান ধরনের সবজি চাষাবাদ করে থাকেন। তবে এবার তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে রঙিন ফুলকপি চাষ করে চমক দেখিয়েছেন।

তার অল্প জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার প্রয়োগ করে চার রঙের ফুলকপি চাষ করে দ্বিগুণ লাভবান হয়েছেন। শফিকুলের এমন সফলতা দেখে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বনাগাঁও পূর্বপাড়ার শফিকুল ইসলাম তিনি সারা বছরই নানা রকম শাক-সবজির আবাদ করেন। এ বছর তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শে ১৫ শতক জমিতে চার রঙের ফুলকপির বীজ বপন করেন।

শফিকুল ইসলাম জানান, ১৫ শতাংশ জমিতে চারাসহ সব মিলে তার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। কোনো ধরণের কীটনাশক-সার ব্যবহার না করেই শুধু জৈব সার ব্যবহার করেন তিনি। চারা রোপণের ৭০ থেকে ৭৫ দিন পর বাগানে আসে রঙিন ফুলকপি। বর্তমানে বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। তার আশা বাগান থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে পুষ্টিগুণে ভরপুর এই রঙিন ফুলকপি।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মজার ব্যাপার হলো রঙিন এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ আমার জমিতে ভিড় করছেন। কেউ নিচ্ছেন চাষের পরামর্শ আবার কেউ কেউ তুলছেন ছবি। তাছাড়া বাজারে নেয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যায় এসব রঙিন কপি।

আরও পড়ুনঃ বলসুন্দরী কুল চাষ করে ৬ লাখ টাকা বিক্রির আশা বদরুলের

একই এলাকার কৃষক জামিল মিয়া জানান, আমাদের এলাকায় শফিকুল ইসলামের আগে অন্য কেউ রঙিন ফুলকপির চাষ করেনি। এসব কপি আবাদে খরচ কম এবং বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি। আগামীতে আমিও আমার জমিতে রঙিন ফুলকপির চাষ করবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার বলেন, কৃষক শফিকুল ইসলাম শাকসবজি চাষে খুবই আগ্রহী। তিনি প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন। তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আমাদের মাঠকর্মীরা কৃষকদের সবসময় সহযোগিতা করে থাকে।

এছাড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ড. সুকল্প বলেন, সাধারণ কপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির চাহিদা বাজারে বেশি। উৎপাদন খরচও তুলনামূলক খুব একটা বেশি না। কৃষকদের সকল পরামর্শ দিতে জেলা কৃষি বিভাগ সব সময় পাশে আছে। আমাদের মাঠকর্মীরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে বিভিন্ন সহযোগিতা করে আসছে।

আর হবে না জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা

Previous article

‘ফরিদপুরবাসী’দের আয়োজনে জাপানে পিঠা উৎসব

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More in কৃষি