কৃষি

রপ্তানিযোগ্য কৃষি পণ্য উৎপাদনে সহযোগিতা করবে ফিলিপাইন, আলু নিবে শ্রীলংকা

0
potato

বাংলাদেশে উন্নত মানের রপ্তানিযোগ্য আনারসের জাত এমডি-২, জি-নাইন কলা, ডেলমন চা এবং মাকাপুনো নারকেল উৎপাদনে সহযোগিতা করবে ফিলিপাইন। এ বিষয়ে শিগগিরই বাংলাদেশ-ফিলিপাইন এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হবে ।

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুক্রবার (১১ মার্চ) খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৩৬তম এশিয়া-প্যাসিফিক আঞ্চলিক সম্মেলনের সমাপনী দিনের সেশন শুরুর আগে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপির সাথে ফিলিপাইনের কৃষিমন্ত্রী উইলিয়াম ডি. ডারের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ তথ্য জানান হয়।

বাংলাদেশ ইতিমধ্যে ফিলিপাইন থেকে এমডিটু জাতের ৩ লাখ আনারসের চারা এনে চাষ শুরু হয়েছে। আরও ৪ লাখ চারা আনা প্রক্রিয়াধীন আছে। আগের চেয়ে আরও কম দামে ও সহজ শর্তে এ জাতের আনারসের চারা বাংলাদেশকে দেওয়ার কথা জানান ফিলিপাইনের কৃষিমন্ত্রী। এছাড়া, রপ্তানিযোগ্য সুস্বাদু জি- নাইন কলা, চা ও ধান চাষসহ কৃষিখাতে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্মত হন দুই মন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের কৃষি উন্নয়নে যেভাবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন, ফিলিপাইনের কৃষিমন্ত্রী উইলিয়াম ডি. ডার তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলিটিক্যাল উইল অ্যান্ড কমিটমেন্ট খুবই প্রশংসনীয়। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের কৃষি, অর্থনীতি ও মানবসম্পদ এখন শক্ত অবস্থানে আছে।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ থেকে আমের জাত ও ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ব্রিধান-৮৯ নেয়ার জন্য ফিলিপাইনকে আহ্বান জানান এবং ফিলিপাইনে গোল্ডেন রাইস চাষের অভিজ্ঞতা জানতে চান। এ বিষয়ে ফিলিপাইনের মন্ত্রী জানান, তারা সেদেশে ইতিমধ্যে গোল্ডেন রাইস চাষের অনুমোদন দিয়েছে। বীজ উৎপাদনের কাজ এখন চলছে। এ বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সাথে শেয়ার করবে ও সহযোগিতা দিবে। উল্লেখ্য, বিশ্বে ফিলিপাইন একমাত্র দেশ যারা গোল্ডেন রাইস চাষের অনুমোদন দিয়েছে।

পরে শ্রীলংকার কৃষিমন্ত্রী মিথালাওয়ে মাহিনদানার আলুথগামেজের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। এসময় বাংলাদেশ থেকে আলু আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেন শ্রীলংকান কৃষিমন্ত্রী। এসময় শ্রীলংকার নারকেল গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে পারস্পরিক সহায়তা বাড়ানোর তাগিদ দেন বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী।

বাংলাদেশের সাথে কৃষিখাতে সহযোগিতার জন্য শ্রীলংকার দুইটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে। বৈঠকে এ সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নে অ্যাকশন প্ল্যান গ্রহণে সস্মত হন দুইমন্ত্রী। শ্রীলংকার কৃষিমন্ত্রী বাংলাদেশে চা ও দারুচিনি রপ্তানি করে, বার্টার পদ্ধতিতে বাংলাদেশের আলু নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, চীনের সাথে তাদের বার্টার সিস্টেম চালু আছে। বাংলাদেশ বার্টার সিস্টেমের সম্ভাবনা বিবেচনা করে দেখবে বলে কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক জানান।

এরপর লাওসের কৃষি উপমন্ত্রী থংপাথ ভংমানির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ড. আব্দুর রাজ্জাক। এসময় আপদকালীন চাল সংকট মোকাবিলায় লাওস থেকে আমদানি করার আগ্রহের কথা জানালে সহযোগিতার আশ্বাস দেন থংপাথ ভংমানি। কৃষিখাতে পারস্পরিক সহায়তা বাড়াতে শিগগিরই সমঝোতা স্মারক সই করার বিষয়েও সম্মত হয় দুই দেশ। থংপাথ ভংমানি এসময় বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এই তিন বৈঠকেই কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

কোলকাতায় হোটেলে আগুনে পুড়ে এক বাংলাদেশির মৃত্যু!

Previous article

নাকফুল উপহার দিলেন পরীমনি

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More in কৃষি