জীবনযাপন

রাগ পুষে না রেখে ঝগড়া করুন, যত্ন নিন দাম্পত্য জীবনের!

0
j1

ঝগড়ার উৎস কি শুধু সম্পর্কের টানাপোড়েন? না কি একে অপরের প্রতি গভীর রাগ অভিমান। এক ছাদের নীচে থাকতে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে মতানৈক্য হবে এটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। সবারই নিজস্ব মত প্রকাশের অধিকার আছে। তবে তাই বলে এই ছোট ছোট ঝগড়া অশান্তিগুলিকে বড় করে দেখবেন না। বরং সম্পর্কের যত্ন নিতে আরও বেশি বেশি করে ঝগড়া করুন।

মনে রাখবেন ঝগড়া না হওয়াটাই বরং অস্বাভাবিক। ঝগড়া করলে মন হালকা হয়, জমা কথা ঝর্নার মতো কলকল করে বেরিয়ে পড়ে। অবসান হয় কত পুষে রাখা রাগ, অভিমানের। কথা হয়নি বলে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে কত সম্পর্ক। এই শীতকালে ত্বকের যত্নের পাশাপাশি সম্পর্কের যত্ন নিতে প্রাণখুলে ঝগড়া করুন। রইল ঝগড়া করার পাঁচটি সুফল।

পুষে রাখা অভিমান মুক্তি পায়

আপনার সঙ্গীর কোনও কাজে আপনার খারাপ লাগতেই পারে। খুব স্বাভাবিক সেটা। কিন্তু সেই খারাপ লাগা বা অভিমান নিজের মধ্যে পুষে না রেখে বলে দিন তাঁকে। আপনি যা অনুভব করছেন তা গোপন করবেন না। একটি স্বচ্ছ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইলে যা কিছু গোপন ক্ষোভ, রাগ, অভিমান উগরে দিন সঙ্গীর সামনে।

ঘনিষ্ঠতা বাড়ে

মুষলধারে বৃষ্টি শেষে যেমন আকাশ পরিষ্কার হয়ে যায়, তেমনই দীর্ঘ ঝগড়ার শেষে মান-অভিমান দুজনকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। এতে সম্পর্ক আরও মজবুত ও দৃঢ় হয়।

j2

বিশ্বাসের ভিত সুদৃঢ় করে

মাঝে মধ্যে ঝগড়া হলেও সমস্ত লুকানো ও গোপন রাগ অভিমান সামনে আসার ফলে বিশ্বাসের বন্ধনটা অনেক দৃঢ় হয়। অনেক সময় সঙ্গীর প্রতি সন্দেহপ্রবণ হয়ে অনেকে মাথা গরম করে ঝগড়া শুরু করে দেন। এক্ষেত্রে অপরজনেরও নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার দায় থেকে যায়। ফলে দুপক্ষের বাদানুবাদ শেষে সবটাই পরিষ্কার এবং স্বচ্ছ হয়ে যায়।

মন হালকা করে

আজকাল এই দৌড়ঝাঁপের জীবনে সারা দিনে একবার ছাড়া একে অপরকে সময় দেওয়ার সময়টুকু পান না অনেকে। তাদের জন্য ঝগড়া কিন্তু খুবই কার্যকর। তারা প্রয়োজনে অকারণে ঝগড়া করুন। সারা সপ্তাহ সঙ্গীর প্রতি যত রাগ অভিমান পুষে রেখেছেন সব বলে দিন। মন হালকা করুন।

ধৈর্য্যশীল করে তোলে

অনেকক্ষণ ঝগড়ার পর আপনার হয়তো ক্লান্ত লাগতে পারে, কিন্তু আপনার সঙ্গী হয়তো তখনও ঝগড়া চালিয়ে যেতে আগ্রহী। সেক্ষেত্রে আপনি চুপ করে গেলেও তাকে সঙ্গ দিতে আপনাকে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হবে। কিংবা অপ্রয়োজনীয় তর্ক-বিতর্ক এড়াতে পরিস্থিতির সঙ্গে আপনাকে অভিযোজন করতে হয়। সাময়িকভাবে এটা অত্যন্ত বিরক্তিকর মনে হলেও আগামীতে বুঝতে পারবেন আপনি আসলে ধীরে ধীরে সর্বংসহা হয়ে উঠেছেন।

মাকে বলতাম একদিন আমিও অভিনেত্রী হবো: মিমি

Previous article

পনির টাটকা এবং শক্ত রাখার উপায়

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *