খেলা

রাশিয়ার বদলে ফ্রান্সে হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল

0
ucjmpl

ইউক্রেনে রাশিয়ান বাহিনীর আগ্রাসনের কারনে সেইন্ট পিটার্সবার্গ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল সড়িয়ে প্যারিসে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রন সংস্থা উয়েফা। আগামী ২৮ মে স্তাদে ডি ফ্রান্সে ইউরোপীয়ান ক্লাব মৌসুমের ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

উয়েফা জানিয়েছে, ইউক্রেনে চলমান আগ্রাসনের বিষয়টি মাথায় রেখে উয়েফা এক জরুরী সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়। এক বিবৃতিতে ব্যক্তিগত সহযোগিতার জন্য ফরাসি রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাকরনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে উয়েফা।

অন্যদিকে রাশিয়ান সরকার উয়েফার এই সিদ্ধান্ত ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছে। এ সম্পর্কে রাশিয়ান সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়াটা সত্যিই লজ্জাজনক। এই ফুটবল ম্যাচটি আয়োজনের মাধ্যমে সেইন্ট পিটার্সবার্গ নিজেদের সম্ভাব্য সেরা কন্ডিশনই প্রমান করতে পারতো।’

সেইন্ট পিটার্সবার্গে গাজপ্রম এরিনাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল অনুষ্ঠানের কথা ছিল। গত বছর ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়সশীপের বেশ কটি ম্যাচসহ ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের ম্যাচও এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয় বছরের মত উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল অন্যত্র সড়িয়ে নিল। এর আগে কোভিড-১৯ মহামারীর কারনে ২০২০’র ফাইনাল ইস্তাম্বুল থেকে লিসবনে এবং গত বছর আবারো তুরষ্কের রাজধানী থেকে পর্তুগালের পোর্তোতে ম্যাচটি সড়িয়ে আনা হয়।

উত্তর ফ্রান্সের রাজশাদনী সেইন্ট-ডেনিসের স্তাদে দি ফ্রান্স এর আগে দুইবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করেছে। ২০০০ সালে রিয়াল মাদ্রিদ বনাম ভ্যালেন্সিয়া ও ২০০৬ সালে বার্সেলোনা বনাম আর্সেনালের মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচ এই মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ৮০ হাজার ধারনক্ষমতা সম্পন্ন এই স্টেডিয়ামে ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে ও ইউরো ২০১৬’র ফাইনালও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে উয়েফা ঘোষনা দিয়েছে- রাশিয়া ও ইউক্রেনিয়ার ক্লাব ও তাদের নিজ নিজ জাতীয় দল পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে। ইউরোপা লিগে স্পার্তাক মস্কো একমাত্র রাশিয়ান অথবা ইউক্রেনিয়ান ক্লাব হিসেবে এবারের মৌসুমে ইউরোপীয়ান প্রতিযোগিতা টিকে রয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে জারুরী বৈঠকে বসেছে ফিফাও। কারণ আগামী ২৪ মার্চ ঘরের মাঠে রাশিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফের ম্যাচ খেলার কথা পোল্যান্ডের। আবার একই দিন ইউক্রেনকে আতিথ্য দেওয়ার কথা স্কটল্যান্ডের। তাছাড়া যুদ্ধ শুরুর কারণে ইউক্রেনের ঘরোয়া ফুটবল লিগও বন্ধ হয়ে গেছে। আশঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে, ইউক্রেন জাতীয় দলের অধিকাংশ খেলোয়াড় তাদের দেশের লিগেই খেলেন।

রাশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলার কথা ছিল সুইডেনেরও। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফের ওই ম্যাচ দুই দলের জন্য কাতারের যাওয়ার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ম্যাচটি খেলার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন সুইডিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান কার্ল-এরিক নিলসন। দেশগুলো এরইমধ্যে রাশিয়ার মাটিতে না খেলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘অলিম্পিকের চেতনা’ নষ্ট করার অভিযোগ এনেছে।

আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে

Previous article

কোচদের নজরে থাকবে টাইগার্স ক্রিকেটার

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More in খেলা