জাতীয়রাজনীতিশীর্ষ সংবাদ

রাষ্ট্রপতিকে আওয়ামী লীগের ৪ প্রস্তাব

0
33933900878cf881f03c7d1f3eeb7a4df125439681f3dfbf

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতিকে ৪ টি প্রস্তাব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে চারটি প্রস্তাব দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

সোমবার, ১৭ জানুয়ারি, বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে আওয়ামী লীগের এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দলটি এ সংলাপে অংশ নেয়।

সংলাপে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব:) মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।

সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত মূল বিধানাবলী দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধানেই (অনুমান ১১৮-১২৬) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারগণের নিয়োগের বিষয়ে আজকের বৈঠকে আমরা কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছি।

প্রস্তাবগুলো হলো-

(ক) সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮-এর বিধান অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন।

(খ) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে মহামান্য রাষ্ট্রপতি যেটা উপযুক্ত বিবেচনা করবেন, সেই প্রক্রিয়ায় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন।

(গ) প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮-এর বিধান সাপেক্ষে একটি উপযুক্ত আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে। বর্তমানে এই ধরনের কোনো আইন না থাকায় সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সংবিধান ব্যতিরেকে অন্য কোনো আইন প্রতিপালনের বাধ্যবাধকতা নেই। তবে সাংবিধানিক চেতনা সমুন্নত রাখতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগণের যোগ্যতা-অযোগ্যতা এবং তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্ধারণের লক্ষ্যেই মূলত এই আইনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে যেকোনো আইন হবে সাংবিধানিক বিধান মতে একটি বিশেষ ধরনের আইন। এই বিশেষ ধরনের আইন প্রণয়নের জন্য আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোনো সুনির্দিষ্ট উদাহরণ ছিল না। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে একটি রাজনৈতিক মতৈক্য প্রতিষ্ঠা করতে একমাত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি সাংবিধানিক রীতি ও রাজনৈতিক অনুশীলন (Constitutional Convention) প্রতিষ্ঠা করেছে। এই সাংবিধানিক রীতিটি হলো সার্চ কমিটি / অনুসন্ধান কমিটি গঠনের মাধ্যমে সকলের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন। এই ব্যবস্থাটি এখন পর্যন্ত দুই বার (২০১২ এবং ২০১৭) অনুশীলন করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। দুই বারই দেশের সব রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ এই অনুশীলনে অংশগ্রহণ করেছে। এমতাবস্থায় এই রীতিটির আলোকে এবং সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের আলোকে একটি আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে।

(ঘ) সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বার্থে সকল নির্বাচনে অধিকতর তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংলাপে বসতে রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগসহ মোট ৩২টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানান। ২০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি হামিদ জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে চলমান এই সংলাপ শুরু করেন।

সংবিধান অনুযায়ীই জাতীয় নির্বাচন হবে:- ওবায়দুল কাদের

Previous article

টিউশনের টাকায় উদ্যোগ শুরু করেন মেহেরুন্নেসা মিলি

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *