উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা শূণ্য হাতে উদ্যোক্তা জীবন শুরু আইভি হোসেন’র By নিজস্ব প্রতিবেদক February 4, 20220 ShareTweet 0 উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, কথা হলো উদ্যোক্তা আইভি হোসেন’র সঙ্গে। আজ শুনবো তার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প। আমি আইভি হোসেন। আমার জন্ম ঢাকায়, বেড়ে উঠা, স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সবটাই ঢাকাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে আমার বন্ধুদের দেখতাম ছোট ছোট হাতের কাজ করতো এবং সেগুলো বিক্রি করতো। আমিও ক্রুশের কাজ জানতাম সেসব দেখে নিজেও কিছু করার উৎসাহ পেতাম। তখন থেকেই কিছু করবো সেই চেষ্টাটা ছিলো। আমার কাজ হচ্ছে মূলত মেয়েদের পোশাক নিয়ে।আমি ঢাকাই জামদানী নিয়ে কাজ করছি। এটা আমার সিগনেচার কালেকশন। প্রি অর্ডার নিয়ে কাস্টমাইজ কাজও করে থাকি। ডেলিভারিতে যেনো কাস্টমার সন্তুষ্ট থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখি। আমার শুরুটা হয় একদম খালি হাতে। আমার মূলধন কিছু ছিলো না। আমি চেয়েছিলাম আমার নিজের কাজের শুরুটা নিজে করবো। তাই প্রথমে রিসেলার হিসেবে কাজ শুরু করি। আমার প্রথম আয় ছিলো ৪৫০ টাকা। এরপর আস্তে আস্তে সামনে এগোচ্ছি। আমার মতে উদ্যেক্তা হতে হলে সাহস প্রয়োজন। কি নিয়ে কাজ করবো? কে কিনবে আমার থেকে?? বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন আসবে। তাই বলে থেমে থাকলে হবেনা। সততা নিয়ে কাজ করলে সফলতা আসবেই। আমার কাজকে কাস্টমার এর কাছে পৌঁছানোর মাধ্যম হলো আমার পেইজ। আমার পেইজের নাম NSR Creation। আমি যেহেতু ঢাকাই জামদানী নিয়ে কাজ করছি, জামদানীর কাজগুলো তাঁত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। কয়েকজন তাঁতীর সাহায্য নিয়ে কাজ চলছে, আর ক্রুশের কাজগুলো আমি নিজেই করে থাকি। চাকরির পিছনে ছুটিনি তা কিন্তু নয়। কিন্তু যখন পছন্দ অনুযায়ী কর্মস্থল পায়নি, তখন নিজে কিছু করবো এই চিন্তা নিয়েই আমার উদ্যোক্তা জীবনের পথ চলা শুরু। আমি সততার মাধ্যমে আমার কাজ করে যাচ্ছি। আমার ক্রেতার সন্তুষ্টি আমার সফলতা। আমাদের দেশের নারীরা প্রতিটি ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হয়। কর্মস্থলে প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীরা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়ে থাকে। ঘরে বসে নিজের জন্য, নিজেকে আত্নবিশ্বাসী করে তুলতে নারীদের জন্য উদ্যেক্তা জীবন উপকারী বলে আমার মনে হয়। নারীদের জন্য উদ্যেক্তা হওয়াটা বর্তমান সময়ে উপযোগী। নারীদের জন্য প্রতিবন্ধকতা থাকবেই সেটা পরিবার হোক বা আত্মীয় থেকে হোক। আমার পরিবার থেকে কোনো বাধার সম্মুখীন হয়নি। তবে যখন কাজ শুরু করি, আমার আত্নীয় স্বজনরা অনেক কথা শুনিয়েছে। আমি সেসব কথায় কর্নপাত করিনি। আমি আমার কাজে মনোনিবেশ করেছি এবং স্বপ্ন পূরণের পথে হাটছি। আলহামদুলিল্লাহ আমার ক্রেতারা আমার পণ্য হাতে পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে। এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমি সততার সাথে কাজ করছি। ক্রেতার সন্তুষ্টি আমার সফলতা। আমি চাই আমার কাজকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে। ঢাকাই জামদানী পোশাক ও শাড়ী শুধুমাত্র দেশে নয়, দেশের বাহিরেও বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমার স্বপ্নকে বাস্তবায়নে রুপ দিতে চাই। আমি আমার লক্ষ্য স্থির রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাবো। একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে দেখতে চাই।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231562 views